দিনের ভোট আগের রাতেই যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে আমরা সে ব্যবস্থা করবো- সৈয়দপুরে লাঙ্গলের পথসভায় তাজ রহমান

মোঃ জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা ॥ দিনের ভোট আগের রাতেই যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে আমরা সেজন্য সতর্ক আছি এবং এেেত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করা হবে। যাতে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র বা ভোট চুরির ঘটনা না ঘটে। ভোট কারচুপি বা গাফলতি করার চেষ্টা করা হলে কেউই রেহাই পাবেনা। জাতীয় পার্টি সরকারের সাথে আছে বলেই আওয়ামীলীগ দেশ চালাতে পারছে। প্রশাসনের প্রতি তাই আমাদের আহ্বান কোনপ্রকার দূরভিসন্ধীর আশ্রয় নিয়ে লাঙ্গলের ভোট চুরির চেষ্টা করবেন না। তাহলে কারো জন্যই তা ভালো হবেনা। সৈয়দপুরের ভোটাররা লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে ফলাফল না নিয়ে বাসায় ফিরবেন না। আমাদের প্রার্থী সিদ্দিকের বিজয় নিশ্চিত জেনে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তা রুখে দিতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুগ্ম মহাসচিব (সিলেট বিভাগ) এ টি ইউ তাজ রহমান।
তিনি ১০ জানুয়ারী রবিবার রাত ৯ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের প্লাজা মার্কেট প্রাঙ্গনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর পে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাকিব খান, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হোসেন, নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব শাহজাহান চৌধুরী, জেলা যুব সংহতির আহ্বায়ক রওশন মাহানামা, সৈয়দপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, সৈয়দপুর পৌর জাপার সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন এবং সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে জাপার মেয়র প্রার্থী শিল্পপতি ও ইকু গ্রপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, সৈয়দপুরে লাঙ্গলের জোয়ার তৈরী হয়েছে। সেই জোয়ারে সৈয়দপুরের উর্দূভাষী ভোটাররা সাড়া ফেলেছে। এখানে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রয়েছেন। তাই সৈয়দপুরে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করলে, রেলওয়ের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের যে সমস্যা রয়েছে তা স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব হবে।
দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে বিএনপি’র প্রার্থীকে আপনারা মেয়র করেছেন। তার বিনিময়ে কী পেয়েছে সৈয়দপুরবাসী? উন্নয়নের নামে তামাশা করেছেন। যে ড্রেণ এবং রাস্তা নির্মান করা হয়েছে সেটি সময়োপযোগী না। আপনারা লাঙ্গলে ভোট দিবেন। লাঙ্গলের মেয়র হলে রাস্তা-ঘাট, ড্রেন-কালভার্টসহ সার্বিক েেত্র সমভাবে টেকসই উন্নয়ন সাধণ করা হবে। শহরে একটি দূরপাল্লার নৈশকোচ ষ্টান্ড করা হবে।
সে সাথে এই অঞ্চল লাঙ্গলের ঘাটি। এবার আপনাদেরকে মেয়র নির্বাচিত করে প্রমাণ করতে হবে সৈয়দপুর শহরও লাঙ্গলের শহর। এ শহরে যতটুকু উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে তা জাতীয় পার্টির মেয়রের সময়েই হয়েছে। তাছাড়া জাতীয় পার্টির সরকারের দ্বারাই হয়েছে। এখন আমাদের চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তাই আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবেনা। কারো চোখ রাঙ্গানীকে জাতীয় পার্টি ভয় করেনা। তাই লাঙ্গলের প্রার্থীও কোন কিছুর তোয়াক্কা করেন না। তিনি তার নির্বাচনী কার্যক্রমের মাধ্যমেই ভোটারদের ভোট নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হবেই।
পথসভায় মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, সৈয়দপুরবাসীর অনেক দিনের দাবী একটি বিনোদন পার্ক। তা মেয়র নির্বাচিত হলে দ্রুততার সাথে নির্মাণ করা হবে। তাছাড়া উর্দূভাষীদেরকে ক্যাম্প থেকে বের করে মানসম্মত আবাসন সুবিধা দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্ত করা হবে। আমি মেয়র হিসেবে নই, সৈয়দপুরবাসীর একজন হয়ে সেবা করতে চাই। আমাকে একবার সুযোগ দিয়ে দেখেন। এ শহরের চিত্রই পাল্টে ফেলা সম্ভব হবে।