মুক্তিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: টেস্টে আড়াই দিন বৃষ্টি আর আলোর স্বল্পতায় কেটে গেছে। তারপরও চতুর্থ দিনে এসে কঠিন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। ফলো অন এড়াতে দরকার যেখানে ১০১ রান, সেখানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৬/৭।
ফলো অন থেকে বাঁচতে হলে এখনও করতে হবে ২৫ রান। এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে দু’বার অল আউট করে জয়ের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান দল। তবে এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানোর ছক আঁকছে বাংলাদেশ দল। সাকিব-তাইজুলের দিকে তাকিয়ে দল।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে এমনটাই বলেছেন টপ অর্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত-‘আমার মনে হয় কালকের দিনটা খুব ইম্পরট্যান্ট। সাকিব ভাই ও তাইজুল ভাই যদি পার্টনারশিপ করতে পারে, আরও কিছু রান করতে পারি তাহলে একটা ভালো অবস্থানে যাব। কাল আবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ আছে। খুব ভালো ব্যাটিং করতে হবে। ভালো ব্যাটিং করতে পারলে অবশ্যই ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব।অসম্ভব কিছু না। খেলায় হেরে গেছি এরকম কিছু না। এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। ভালো অবস্থায় যেতে পারব না এমন কিছু না। ‘
বাংলাদেশের ৭ ব্যাটারের সবাই উইকেট দিয়ে এসেছেন। তবে শান্ত বলছেন অন্য কথা-‘ উইকেট আসলেই এত সহজ ছিল না। ডিফেন্সের ওপর আস্থা সবারই আছে। শুধু ডিফেন্স করে করে সারাদিন পার করা কঠিন। সাথে শট খেললে ওদের অ্যাটাকিং ফিল সেটআপ ছড়িয়ে যেত। আমার মনে হয় না কেউ অতিরিক্ত আগ্রাসী ছিল। সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছি তা কিন্তু না। যে যে শট পারে সেটা খেলতে গিয়ে হয়ত বাস্তবায়ন হয়নি। এমন নয় যে সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছে।’
পেস উপযোগী পিচে পেসারদের বোলিং সন্তুষ্ট করতে পারেনি। শান্ত’র কথায় তা প্রতীয়মান হচ্ছে-‘আমার মনে হয় না এটা ৩০০ রান করার মত উইকেট। আরও কম রান হলে ভালো হত। স্পিনার ও পেসাররা যদি রান আরও কম দিত তাহলে ভালো হত। পেসারদের যথেষ্ট সহায়তা ছিল।’
এই উইকেটে সুইপ শটে কেনো ঝুঁকলো বাংলাদেশ ব্যাটাররা ? তার কারণটাও জানিয়েছেন শান্ত-‘ টার্নিং উইকেটে এলবিডব্লিউ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমন উইকেটে সবাই সুইপের ওপরেই বেশি আস্থা রাখে। এজন্যই সবাই সুইপ খেলার পরিকল্পনা করেছে। ‘ সূত্রঃ এবিএন