মুক্তিনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষেও লাভ বেশি। আর সে কারনে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে সফল উদ্যোক্তা শাহীদা বেগম প্রথম বারের মতো উচ্চ ফলনশীল বারি হলুদ-৪ চাষ করেও ফসল হয়েছেন। অল্প খরচে অধিক ফলন পাওয়ায় খুশি এই উদ্যোক্তা। আর এ হলুদ চাষে সহযোগিতা করেছেন মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র ফরিদপুর। সফল উদ্যোক্তা শাহীদা বেগম জানায়, বাড়ি পাশের আম বাগানের সাথি ফলস হিসাবে উচ্চ ফলনশীল বারি হলুদ-৪ চাষ করেছিলাম।
মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুরের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আলাউদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বগুড়া মসলা গবেষণার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: মাজহারুল আনোয়ার।
মাঠ দিবসে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ, মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মুশফিকুর রহমান, কৃষিতে পুরস্কার প্রাপ্ত উদ্যোক্তা শাহীদা বেগম।
মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক বক্তার হোসেন খান, আদর্শ কৃষক আলম ব্যাপারী সহ ৬০ জন কৃষক-কৃষানী অংশগ্রহণ করেন।মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুরের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আলাউদ্দিন খান বলেন, বারি হলুদ -৪যা কৃষকরা এরই মধ্যে জমি থেকে তুলতে শুরু করেছেন। এ জাতের উচ্চ ফলনশীল হলুদ দেশের প্রচলিত জাতের হলুদের তুলনায় প্রায় তিনগুণ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন। মানের দিক দিয়েও এ হলুদ প্রচলিত জাতগুলির চেয়ে ভালো। তিনি বলেন, এই হলুদ চাষ করে কৃষকরা যেমন অর্থিকভাবে লাভবান হবেন, তেমনি দেশও হলুদের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে।’