
মোঃলাভলু শেখ, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হওয়া হিমাংসু বর্মণের ২ মেয়ের পড়াশুনার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় পার্টির
চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট ০৩ আসনের সংসদ সদস্য জিএম কাদের। শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারী বিকেলে প্রেসক্লাব লালমনিরহাট মিলনায়তনে জিএম কাদেরের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষনা দেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব
জাহিদ হাসান। এসময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বলেন, রাজনীতি মানে দেশের মানুষের জন্য সেবা করা,আমি এটি বিশ্বাস করি। রাজনীতি মানে সকলের উপর দেশের মানুষের স্বার্থ তারপর দলীয় স্বার্থ, দেশের সেবা করার জন্য দলকে ব্যাবহার করা। তবে আমাদের দেশের রাজনীতির চর্চা এর উল্টো দিক থেকে। আমরা এই সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই। আজকে এই সংস্কৃতির পরিবর্তনের জন্য আমি চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। সামনের দিকে আমি এই প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাবো। এসময় মৃত্যু হিমাংসুর ২ মেয়ে শ্রীমতি পিংকী রাণী (১৩) ও শ্রীমতি পিয়াসী রানী (১০) এর হাতে নগদ ৫হাজার টাকা ও শীতবস্ত্র তুলে দেন জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ। মৃত্যু হিমাংসু বর্মণের পিতা বিশেম্বর বর্মণ বলেন, ওই ২ অনাথ শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ ছিলাম। কিন্তু আজ থেকে সেই চিন্তা আর থাকলো না। এখন ওই অবুঝ শিশু দুটি ভালোভাবে পড়াশুনা করতে পারবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, হাতিবান্ধা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আরিফ শাহরিয়ার, জেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, জেলা রেল শ্রমিক পার্টির সম্পাদক আনসার আলী, জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির সভাপতি আছির উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পাার্টির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা তরুন পার্টির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম ও মৃত হিমাংশুর পিতা বিশেশ্বর বর্মন, বড় ভাই সুধীর বর্মর প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারী সকালে হিমাংসুর স্ত্রী সবিতার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিমাংশু বর্মনকে আটক করে হাতিবান্ধা থানা পুলিশ। আটকের প্রায় ৪ ঘন্টা পর পুলিশ হিমাংশুর লাশ হাতিবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ দাবী করে থানার একটি কক্ষে ওয়াইফাই এর তার গলায় পেঁচিয়ে হিমাংসু আত্নহত্যা করে।