রবিউল হক রতন , ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বর্তমান সরকার যোগাযোগ ক্ষেত্রে রেলবান্ধব বলে আজ গোটা দেশে রেলের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবার হত্যার পর রেলকে জন বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর রেলওয়েকে জনতার দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিতে রেলের ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) গ্যাংকার যোগে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথের জিরো পয়েন্ট পরির্দশন শেষে রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবির এ কথা গুলি বলেন।
এসময় রেল সচিবের সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জি এম অসিম কুমার তালুকদার, পাকশী ডিভিশনের ডিসিও নাসির উদ্দিন, পাকশী ডিভিশনের প্রকৌশলী-২ প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম, বিজিবি চিলাহাটি কোম্পানী কমান্ডার খোদা বকস, উপ সহকারী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স প্রজেক্ট ম্যানেজার রোকুনুজ্জামান সিয়াব এবং আরএনবি পার্বতীপুর চিফ সর্দ্দার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবির বলেন, অচিরেই চিলাহাটি রেল ষ্টেশনের নির্মানাধীন সকল বন্ধকতা কাজগুলি পূর্ণরায় চালু করা হবে। আগামী রবিবার বিকালে মিটিং এর পর বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধ থাকা রেল যোগাযোগসহ ঢাকা- নিউ জলপাইগুড়ি মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল কবে থেকে শুরু হবে তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০২১ সালের ২৭শে মার্চ দুই দেশের সরকার প্রধানগণ যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেস ঢাকা- নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেনটি উদ্ভোধনের পর করোনা পরিস্থিতির কারণে চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পণ্য পরিবহনের জন্য ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর উদ্ভোধনের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ দিয়ে মালবাহী ট্রেনের যোগাযোগ বর্তমানে চালু রয়েছে ।
তিনি আরও জানিয়েছেন ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারত ভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সময় চিলাহাটি-হলদিবাড়ির মধ্যে এই ইন্টারচেঞ্জ চালু ছিল। সে সময় চিলাহাটি ও হলদিবাড়ি স্টেশনের উজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করে এখনও গর্বোবোধ করেন এলাকার বাসিদারা। ১৯৬৫ সালে হলদিবাড়ির সঙ্গে তদানীন্তন পাকিস্তানের রেল যোগাযোগ চালু ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পূর্বে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি দিয়ে সরাসরি কলিকাতার রেল যোগাযোগ চালু ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।