অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে সেভাবে দাগ কাটতে পারলেন না রবীন্দ্র জাদেজা। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ব্যক্তির থেকে যে ব্যাটন তাঁর হাতে গিয়েছে, তা যে যথেষ্ট ভারী, তা জাদেজাকে দেখেই বোঝা গেল। (ছবি সৌজন্যে আইপিএল) শনিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিরুদ্ধে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল চেন্নাই। ফলে অষ্টম ওভারেই ব্যাট করতে আসেন। কিন্তু তাঁকে বেশ নার্ভাস লাগছিল। যা ব্যাটার জাদেজার ক্ষেত্রে বেশ অবাক হওয়ার মতো বিষয়। যেন বাড়তি দায়িত্বের ভারে নুইয়ে পড়লেন তিনি। সম্ভবত সেই কারণেই যে জাদেজা কেকেআরের বিরুদ্ধে সাধারণত দারুণ খেলেন, তিনি কার্যত টাইমিং পাচ্ছিলেন না। ফিল্ডিংয়ের সময়ও জাদেজার কৌশল নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে। নিজে ১১ তম ওভারে বল করতে আসেন। তাঁর আগে শিবম দুবেকে বল দেন। সেই কৌশল কিছুটা অদ্ভুত ঠেকেছে। অষ্টম ওভারে দুবে বল করতে আসেন। সেইসময় ক্রিজে ছিলেন অজিঙ্কা রাহানে এবং নীতিশ রানা। বাঁ-হাতি রানার বিরুদ্ধে বাঁ-হাতি জাদেজা বোলিং করলে সুবিধা হবে না – সেই তত্ত্ব খাড়া করা হলেও তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রথমত, রানের পুঁজি এমনিতেই কম। সেক্ষেত্রে আগে তো উইকেট তোলার চেষ্টা করতে হবে। নাহলে কখনওই ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না। দ্বিতীয়ত, যত ম্যাচ গড়াবে, তত শিশিরের মাত্রা বাড়বে। তাতে তো বল আরও গ্রিপ করতে সমস্যা হবে। সেক্ষেত্রে নিজেকে বড্ড দেরিতে আক্রমণে এনেছেন জাদেজা। অ্যাডাম মিলনে প্রথম দু’ওভার বেশি ভালো বল করেছিলেন। প্রথম ওভারে মাত্র দু’রান দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ওভারে ১০ রান দিলেও শুরুতেই উইকেট তোলার জন্য পাওয়ার প্লে’তে মিলনেকে দিয়ে আরও এক ওভার করিয়ে নিতে পারতেন জাদেজা। তাতে হয়ত কিছুটা চাপ বাড়ত কেকেআরের। আক্রমণাত্মক খেলার তুলনায় রক্ষণাত্মক খেলেছেন জাদেজা। তবে জাদেজার ভাগ্যও কিছুটা খারাপ ছিল না। এমনিতেই শিশিরের জন্য জাদেজার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। তাই ইনিংসের শুরুতেই সুইংয়ের ফায়দা নিতে হত। যে কাজটা করতে পারতেন দীপক চাহার। তিনি না থাকায় তুষার দেশপান্ডেকে দিয়ে শুরু করতে হয় জাদেজাকে।