মাহমুদুর রহমান: বন্ধ হয়ে গেছে পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম। পাথর কাটতে ব্যবহৃত বিস্ফোরক দ্রব্য অ্যমোনিয়াম নাইট্রেটের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিরার সকাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খনি শ্রমিকদের ছুটিতে পাঠিয়েছেন খনিটির ঠিকাদারী প্রতিষ্টান জার্মানিয়া ট্রাষ্ট কনসোর্টিয়াম। সময় মতো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আমদানী করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিদিন সাড়ে ৫হাজার টনের মতো পাথর উত্তোলন থেকে বঞ্চিত হবে খনিটি।
খনি সুত্রে জানা যায়, বৈরুতে বিস্ফোরনের পর অ্যামোনিয়া নাইট্রেট রফতানীকারক দেশ গুলো আর অ্যামোনিয়া নাইট্রেট রফতানী করতে চাইছে না। বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পায়নি খনি কর্তৃপক্ষ। কোন দেশ থেকে সাড়া পাওয়া গেলেও পরিবহনের জন্য জাহাজ পাওয়া যায় না। অ্যামোনিয়া নাইট্রেট বিপদজনক পণ্য হওয়ায় এ ধরনের কন্টেননার পরিবহন করতে চান না জাহাজ মালিকরা। তিন দফা দরপত্র আহবান করা হলেও কোন প্রতিষ্ঠান দরপত্র ক্রয় করেনি।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মোঃ আবু তালে ফারাজী সমকালকে জানান, খনিতে যে পরিমান অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টার পর ২৪২ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আমদানী করা হচ্ছে থাইল্যান্ড থেকে। তিন দফায় বিষ্ফোরক গুলো দেশে আসবে। প্রথম দফায় ৮৮ মেট্রিকটন বিস্ফোরক নিয়ে একটি জাহাজ আগামী ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছার কথা রয়েছে। খালাসের পর তা চট্টগ্রাম থেকে খনিতে আসতে আরো সপ্তাহ খানেক সময় লাগতে পারে। এর পর ৩১ মার্চ আরেকটি জাহাজে আসবে ৮৮টন বিস্ফোরক নিয়ে। সর্ব শেষ এপ্্িরলের মধ্যে আসবে ৬৬ মেট্রিকটন বিস্ফোরক। তিনি জানান খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্্েরস্ট কনসোর্টিয়ামকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আমদানী করার কথা বলা হলেও তারও ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে খনি কর্তৃপক্ষকে আমদানী করতে হয়েছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট।
উল্লেখ্য মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে পাথর উত্তোলনের জন্য ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্র্টিয়াম জিটিসি”র সাথে আগামী ছয় বছরের পুনঃ চুক্তি করেন মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানী লিঃ কর্তৃপ। সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার মে:টন পাথর উত্তোলন করবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি। কিন্তু পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক দ্রব্য শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে শনিবার সকাল থেকে খনির পাথর উত্তোলন কাজ বন্ধ হয়ে যায়।