কলাপাড়া প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এমপি ও জেলা প্রশাসকের সামনে শতশত কৃষকের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিয়াখালী ও বাদুরতলী খালের অবৈধ বাঁধ কাটার নির্দেশ দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
বুধবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের সামনে টিয়াখালীর কয়েকশ নারী পুরুষ ব্যানার সহকারে খাল উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
এ সময় পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন কৃষকদের অভিযোগ শোনেন। এসময় তারা কৃষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ২৪ ঘন্টার মধ্য কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খালের সকল বাঁধ কেটে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
খালের বাঁধ অপসারনে সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে খুশি কৃষকরা এসময় আনন্দ মিছিল করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কলাপাড়া পৌর শহর সংলগ্ন বাদুরতলী খালটি আন্ধারমানিক নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করে শহরের চিংগড়িয়া ও রহমতপুর খালের সাথে গিয়ে মিশেছে। এ খালের দুই পাশে প্রায় পাঁচশ হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। গত ছয় বছর ধরে এ খাল মাছ চাষের জন্য লিজ নিয়ে খালের বিভিন্ন পয়েন্ট একাধিক বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। কৃষকদের সেচ মৌসুমে পানি দরকার হলে এ খালের পানি ব্যবহার করতে পারেন না প্রভাবশালী ইজারাদারের কারনে। আবার গত সপ্তাহে লবন পানি উঠিয়ে কৃষককের লাখ লাখ রবি শস্য নস্ট করে দিয়েছে। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় কাজেও এ খালের পানি ব্যবহার করতে পারছে গ্রামবাসীরা। এতে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী খাল উন্মুক্তের দাবিতে আন্দোলনে নামে।
গ্রামবাসীরা জানান, তারা খালের পানিতে পা পর্যন্ত ভেজাতে পারেন না ওই প্রভাবশালী চক্রের কারনে। এমপি স্যার ও ডিসি স্যার খাল উন্মুক্ত করার নির্দেশ দেয়ায় তারা খুশি।
আর টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা জানান, টিয়াখালী ও বাদুরতলী খাল কৃষকদের গলার কাটা। তারা ছয় বছর ধরে এ খালের বাঁধ অপসারনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। কাল বাঁধ কাটা হবে এতে খুশি গোটা ইউনিয়নের মানুষ।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার নির্দেশ দিয়েছেন বাঁধ কাটার। তাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে এ বাঁধ কাটা হবে। এজন্য ভূমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।