মুক্তিনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে দু:শ্চিন্তায় ছিলেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষকরা। তবে এখন বাজারে দাম ভালো এবং বিদেশে যাচ্ছে এই আলু। বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় এবং ৩ হাজার ৪৪৮ মে. টন আলু বিদেশে রফতানি হওয়ায় খুশি চাষিরা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ৬৬ হাজার ৯৫০ মে. টন আলু উৎপাদন হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৪৪৮ মে. টন আলু বিদেশে রফতানি হচ্ছে। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে সাগিতা, গ্রানুলা, ডায়মন্ড, কুমরিকা, সার্পোমিরা ও সেভেন জাতের আলু রফতানির কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের কৃষক আ. আলীম, আতিকুর রহমান টুকু, আইনুল হক ও একরামুল হক রফতানিকারকদের মাধ্যমে বিদেশে আলু রফতানি করছেন। তারা বলেন, জমি থেকে প্রতিকেজি আলু ১২-১৪ টাকা দরে বিক্রি করেছেন চাষিরা। যা গত বছর এর অর্ধেক ছিল।
অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, খানসামা থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে আলু রফতানিতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। এছাড়াও স্থানীয় বাজারেও দাম বেশ ভালো। জমি থেকে প্রতিকেজি আলু ১২-১৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষকরা। যা কিছুদিন আগেও প্রতিকেজি ৭/৮ টাকা ছিল। এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, রফতানিযোগ্য আলুর চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী বছর এর পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এখন থেকে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রফতানিযোগ্য আলুচাষ করতে হবে। এজন্য কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ওই প্রকল্পের আওতায় রফতানিযোগ্য জাতের আলুর চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।