মুক্তিনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ সাত’শ খনি শ্রমিককে কাজে যোগদান ও করোনা কালীন ৮ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য খনি কর্তৃপক্ষ এবং চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি- এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে এ দাবীতে আন্দোলনরত বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় খনি এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক শ্রমিক সভাবেশে এ ঘোষনা দেন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। এতে বক্তব্য রাখেন-বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান, দু’দফা দাবীতে এর আগেও কয়েকবার স্মারক লিপি প্রদান ও মিটিং মিছিল করা হয়েছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি। তাই ঘোষিত সময় সীমার মধ্যে তাদের দু দফা দাবী পুরণ করা না হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক স্বার্থ পরিপন্থি সিদ্ধান্তের কারণে বেকার হয়ে পড়া সাত’শ শ্রমিক তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আগামী ২৭ এপ্রিল খনি গেটে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান কর্মসূচী পালন করার হুশিয়ারী দেয়। এতে বাধা দেওয়া হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
দিনের কর্মসূচী শেষে খনি শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বেলা সাড়ে ১২ টায় খনি গেটে তাদের দু’দফা দাবী সম্বলিত একখানা স্বারক লিপি প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরণের জন্য বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে খনির নিরাপত্তা সুপার ভাইজার জিন্নাত ইসলাম তা গ্রহণ করেন।
শ্রমিক আন্দোলন ও তাদের দু দফা দাবীর বিষয়ে মতামত জানতে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামানের মতামত জানার জন্য বার বার চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেন নি।