মুক্তিনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ আইবিএস কেন হয়—এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। বিজ্ঞানীদের অনুমান, মগজের সঙ্গে বাওয়েলের সংকেত ব্যাহত হলে এমন হতে পারে। পরস্পর যোগাযোগে ভ্রান্তি ঘটলে ভুল বার্তা যায়, আর তখন অন্ত্রের পেশিগুলোতে শুরু হয় সংকোচন। শুরু হয় পেটে খিঁচুনি, ব্যথা আর পরিপাকের গতিতে পরিবর্তন।
লক্ষণ
♦ পেট মোচড় দিয়ে ওঠা, ব্যথা, অস্বস্তি
♦ পেট ফাঁপা, খুব বেশি গ্যাস
করণীয়
নির্ণয়ের তেমন টেস্ট নাই, তবে রোগীর উপসর্গের বিবরণ শুনে রোগটি নির্ণয় করেন ডাক্তার। এর চিকিৎসার নির্দিষ্ট ওষুধ নাই, তবে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন :
♦ নিয়মিত ব্যায়াম এই রোগের উপসর্গে আরাম দেয়।
♦ স্ট্রেস মোকাবেলা করা। ব্রিদিং ব্যায়াম। ইয়োগা, হাঁটা, ভালো ঘুম—এসব বেশ কাজে দেয়।
♦ ডায়েরি ব্যবহার করতে পারেন। এতে লিখে রাখুন—আপনার উপসর্গ সব, কী কী খেলে রোগ বাড়ে। মদ বা স্ট্রেস হলে রোগ বাড়ে কি না।
♦ এক সঙ্গে বেলার খাবার বেশি করে না খেয়ে কম করে বেশিবার খান, চর্বি এবং চিনি কম—এমন সব খাবার খেলে ভালো। ফল আর সবজি খাওয়া।
♦ কোষ্ঠবদ্ধতা হলে আঁশসমৃদ্ধ খাবার খাবেন। অ্যালকোহল, পান ধূমপান ছাড়তে হবে। চা-কফি যত কম তত ভালো। যেসব খাবার খেলে গ্যাস হয় সেগুলো বাদ দেওয়া। শিম জাতীয় সবজি, ব্রকলি, স্প্রাউট, বাঁধাকপি, মুলা। কোমল পানীয় বাদ দিলে ভালো।
♦ দুধ খেলে অস্বস্তি হয় কি না, অনেকের দুধের শর্করা ল্যাকটোজ সহ্য হয় না।
♦ খাওয়া-দাওয়া যেন নিয়মিত হয়। খেতে হবে—ধীরে ধীরে চিবিয়ে বসে খান। মনোযোগ দিয়ে খান। বেশি রাতে খাবেন না।
ওষুধপত্র
উপসর্গ বিশেষে ওষুধ দিতে পারেন ডাক্তার। অনেক সময় বিষণ্নতারোধী বা পেটের মোচড় রোধের ওষুধ। লাগতে পারে সাইকো থেরাপি। মাইন্ডফুলনেস। ক্রনিক এই অসুখকে রাখতে হবে সামলে।