কলাপাড়ায় বাবার কাছে চিরকুট লিখে মেয়ের আত্মহত্যা
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটা সংলগ্ন খাজুরা গ্রামে বাবার কাছে চিরকুট লিখে রেখে ঘরের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে সাদিয়া। বুধবার সন্ধায় মহিপুর থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। সে মহিপুর কো অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও খাজুরা গ্রামের মো. সোলাইমানের মেয়ে। নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার দুপুরের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে যায় সাদিয়া। কিছুক্ষণ পরে ঘরে থাকা সৎ মা সেফা বেগম সাদিয়া কে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে টিনের চালের ফাঁক দিয়ে সাদিয়াকে গলায় ওরনা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে তার মরদেহ নামলেও সে আগেই মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, নিহত সাদিয়ার বালিশের নিচ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। পিতার কাছে লেখা চিরকুটে সাদিয়া লিখেছেন- আব্বু আমারে তুমি মাফ কইরা দিও-প্লিজ.. আমি তোমারে অনেক কষ্ট দিছি। বাবা আমি একা থাকি সব সময়। এদুখো আর নিতে পারি নাই আমি। আমি তোমাদের যোগ্য সন্তান হতে পারি নাই কখনো, আমার মরার জন্য কেউই দাই নেই। শুধু এই মিথ্যা দুর্নীয়াটা আমার ভালো লাগে না। আব্বু-আম্মু তোমাদের বোজা হয়েই তো ছিলাম এতো দিন। আমার বোন টারে দেইখা রাইখো। ওরে কখনো বাষ্ট দিও না.. আর আমার জন্য কোনো কান্না কইরো না, ১০ বছর তো শুধু আমি ছিলাম তোমাদের মেয়ে আর এখন তো রওজ্যও হইছে তাই না এমন বারবা আগের মতো। আমে রওজা ছিল না আমি হিশাম কিন্তু এখন আমা বোস থাকবে আমি থাকবো। আল্লাহ হাফেজ। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।