প্রথম দিন : শুরুর মতো হলো না বাংলাদেশের শেষটা
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : প্রথম দুই সেশনে যে ছন্দে ছিল বাংলাদেশ, যে আক্রমণে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে রেখেছিল, আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের চাকায় লাগাম টেনেছিল, শেষ সেশনে তালগোল পাকানো পারফরম্যান্সে দিনটাই এলোমেলো করে দিল। বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে দিনের শুরু ও মধ্যভাগে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ছড়িয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকাশে, শেষ সেশনে তা হুট করেই উধাও।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনের শুরুটা স্বাগতিকদের বিষন্ন হলেও শেষটা হয়েছে আনন্দমাথা। পশ্চিমে সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যারিবীয়ানদের মুখে হাসিও যেন আরো চওড়া হতে থাকে। স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দিন শেষ করা স্বস্তিদায়ক অবশ্যই। অথচ প্রথম সেশনে তাদের স্কোরবোর্ডে রান ছিল ২ উইকেটে ৫০। দ্বিতীয় সেশনে ৩ উইকেটে ১১৬, মানে ৬৬ রান যোগ হয়। বাংলাদেশের ‘যন্ত্রণার’ শেষ সেশনেই এসেছে ১৩৪ রান।
রান রেটের হিসেবটা দিলে অবাক হতেই হবে। প্রথম সেশনে রান রেট ২.১৭। দ্বিতীয় সেশনে ২.১৩। আর শেষ সেশনে ৪.৪৭। যার কৃতিত্ব লুইস ও আথানেজের। স্বাগতিক এই দুই ব্যাটসম্যান রীতিমত দিনটা ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের থেকে। দিন শেষে অবশ্য তাদের কারো মুখে হাসি নেই। কেননা নার্ভাস নাইন্টিজে দুজনই ফিরেছেন সাজঘরে।
লুইস ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি। আজ দ্বিতীয় ফিফটিকেও পারলেন না তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে। ৯০ রানে মিরাজের হাতে জীবন পাওয়ার পর ৭ রান যোগ করে তার বলেই স্লিপে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। প্রতি আক্রমণে খেলার সুর পাল্টে দেওয়া আথানেজ থামেন ৯০ রানে। তাইজুলের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে হাওয়ায় ক্যাচ তোলেন। নষ্ট হয় তার প্রথম সেঞ্চুরির সুযোগ। ১৩০ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় মাঠ মাতিয়ে ড্রেসিংরুমের লম্বা পথ তাকে পাড়ি দিতে হয়।