কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ অক্সিজেন কোম্পানির কম্বলটা প্যায়য়া (পেয়ে) খুব ভাল (ভালো) হইল। দুইটা খেতা (কাঁথা) গাত (গায়ে) দিয়া আইতোত (রাতে) থাকি ঠান্ডায় যায় না।
নদীর পাড়োত (পাড়ে) খুব ঠান্ডা। এতো ঠান্ডা যাবাইছে (যাচ্ছে) কাইয়ো (কেউ) একটা কম্বলও দেই নাই।
স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের শীত বস্ত্র পেয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের বৃদ্ধ লিয়াকত আলী (৭০)।
তিনি বলেন, ঠান্ডাত ভাল মত নিন্দ (ঘুম) হয় না। নামাজ পড়তেও খুব কষ্ট হয়। যাই (যে) আজ কম্বলটা দেইল (দিছে) আল্লাহ তার ভাল (ভালো) করুক। নামাজ পড়ি তার জন্য দোয়া করমো (করবো)।
ওই এলাকার খাইরুন বেওয়া নামের এক নারী বলেন,
হামরা (আমরা) গরীব মানুষ একটা কম্বল কেনমো (কিনবো) তাহে (তা) পাই না।
হামার (আমার) এডাই (এখানে) কারও কম্বল নাই খেতা (কাঁথা) গাত (গায়ে) দিয়া থাকি।
আজ কম্বলটা প্যায়য়া ( পেয়ে) খুব ভাল হইছে। আজ আরামে নিন্দ (ঘুম) পারবার (পারতে) পামো (পারবো)।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের উদ্যোগে সদরের যাত্রাপুর ও পাঁচগাছী ইউনিয়নে ৫ শতাধিক দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার মামুন -উর- রশীদ, রংপুর ডিপু ইনর্চাজ ইমাম হোসেন, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গফুর ও ইউপি সদস্য মেম্বার রহিম উদ্দীন হায়দার রিপন প্রমুখ।
চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গফুর বলেন, সদর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে শীতে কষ্টে পরে আমার ইউনিয়নের মানুষ। কেন না ইউনিয়নটির বেশির ভাগ মানুষ নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করেন। এখানে ঠান্ডাও অনেক। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এখানে শীত বস্ত্র বিতরণ করলো। সরকারের পাশাপাশি এসব কোম্পানি ও সামাজিক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসলে শীতার্ত মানুষের আর কষ্ট হবে না।
স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার মামুন -উর-রশীদ বলেন, প্রতিবছর শীতে এখানকার মানুষ অনেক কষ্টে পড়ে। তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর খালিদ হোসেন খাঁন ৫ শতাধিক কম্বল শীতার্ত মানুষের জন্য দিয়েছেন। তা আজ বিতরণ করা হলো।