ফরহাদ খান, নড়াইল
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী গ্রামে যুবলীগকর্মী আজাদ শেখ (৩২) হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি উঠেছে। কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে পিরোলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্য়ালয়ে অনুষ্ঠিত শোক ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি করা হয়। এছাড়া বিক্ষোভ মিছিল এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য এমদাদুল হক, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুনার রশিদ, কালিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান শামীম রহমান ওসি, নড়াগাতী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী, কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মুশফিকুর রহমান লিটন, পুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মনি মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কৃষকলীগ নেতা লুৎফর রহমান, নিহতের ভাই সাজ্জাদ শেখসহ অনেকে।
প্রধান অতিথি কবিরুল হক মুক্তি এমপি বলেন, যুবলীগকর্মী আজাদ শেখ কী করেছিল? কার ক্ষতি করেছে? কেন তাকে খুন করা হলো? এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের ফাঁসি চাই। এছাড়া আজাদ শেখের স্ত্রী ও সন্তানদের সব দায়িত্ব আজ (গতকাল) থেকে আমি গ্রহণ করলাম। আমৃত্য তাদের পাশে থাকতে চাই।
কবিরুল হক মুক্তি আরো বলেন, যুবলীগকর্মী আজাদ শেখ হত্যাকান্ড নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মিথ্যাচার করেছেন। রিজভী সাহেব গত ২৫ জুলাই ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আজাদ শেখ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এটা মিথ্যাচার। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা যুবলীগকর্মী আজাদ শেখকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে।
অন্য বক্তারা বলেন, আসামিপক্ষ নিজেদের বাড়িঘরে আগুণ ধরিয়ে এবং গরু-ছাগলসহ জিনিসপত্র বাড়ি থেকে সরিয়ে আমাদের (বাদীপক্ষ) ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যুবলীগের খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ থেকে বাড়িতে ফেরার পথে গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় পিরোলী থানকাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আজাদ শেখ নিহত হন।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পিরোলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বাবু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লাবলু ভূঁইয়া গ্রæপের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে যুবলীগকর্মী আজাদ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ গ্রামে মোল্যা ও ভূঁইয়া বংশের নেতৃত্ব দেন লাবলু ভূঁইয়া এবং অপরপক্ষে নেতৃত্বে দেন আনিসুল ইসলাম বাবু। নিহত আজাদ শেখ বাবু গ্রুপের লোক।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাতেই আসামিপক্ষের অন্তত ২০টি বাড়ি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। #
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved