ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ পলাশবাড়ী
বাজারে ফের বাড়তি ডিমের দাম। স্থানভেদে এক হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে -৫০- ৫৫ টাকা পর্যন্ত।ক্রেতারা বলছেন, বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেটের হাতে। যার কারণে একেক সময়ে একেক পণ্যের দাম রাতারাতি বেড়ে যায়। বুধবার (৯ আগস্ট) পলাশবাড়ী কালিবাড়ী কাঁচা বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দাম। পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৬-৪৮ টাকা। এদিকে বিক্রেতারা জানিয়েছেন বাজারে সবজির দামও বাড়তে পারে।
আজ বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম -২০০- ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। দেশি আদা ৪০০ টাকা ও ভারতীয় আদা ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি রসুন ২৫০-২৭০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫- ৮০ টাকা।
এছাড়া প্রতি কেজি চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৪৫ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শুকনো মরিচ ৬০০-৬৫০ টাকা, লাউ ৪০- ৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০-৬০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০টাকা, কচুর লতি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।চাল কুমড়ার পিস ৩৫-৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া আগের মতোই ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা ও লেবুর হালি ১৫ টাকা। প্রায় সব ধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মাংসের বাজারে দেখা গেছে, গরুর মাংসের দাম ৭৫০-৮০০ টাকা। খাসির মাংস ১০০০-১১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি আগের মতোই ২৮০-৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৫০-৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকৃতি ভেদে রুই ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্প ২৫০-২৮০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৫০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকৃতি ভেদে ইলিশের কেজি ১০০০-১২০০ টাকা।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৯ টাকা এবং দুই লিটার ৩৬৫-৩৭০ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম ৫৫-৬০ টাকা, পাইজম ৫৮-৬৫ টাকা, বিআর২৮ ৬৫-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৮৫-৯০ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাশকাটা( ব্যাকের মোড়) বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী বাহারুল বলেন, বাজারে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সবজি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে, সরবরাহ কমে যেতে পারে। আর তাই বাড়তে পারে সবজির দাম।তবে ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছেন মাহমুদ। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম জিনিসপত্রের দাম কমবে। এখন দেখছি উল্টা। আসলে বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজার ব্যবস্থা সিন্ডিকেটের হাতে। সকালে যে জিনিসের দাম একরকম থাকে, সন্ধ্যায় বা পরদিন সকালেই সেটির দাম বেড়ে যায়। এটা কোনোভাবেই ন্যায্য হতে পারে না।