মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বিএনপি জনগণের কাছে আসে না, তারা রাজনীতি করে ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসে। তারা মনে করে দূতাবাস দিয়ে জনগণের ঘাড়ে উঠতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় বিএনপি জনগণকে মূল্য দেয় না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এরা ক্ষমতায় এলে দেশটা বিরান হয়ে যাবে। কক্সবাজারে সাঈদীর গায়েবানা জানাযায় পুলিশ-জামায়াত সংঘর্ষ, নিহত ১ তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা ছিল সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেটিকে বাতিল করে দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, র‍্যাবের ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিএনপির আমলে র‍্যাবকে তৈরি করেছিল আমেরিকা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আসলে র‍্যাবকে দেয়নি, জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য দিয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৭ জন সদস্য হত্যার বিচার শুরু করেন। আমরা দেখেছি সেই বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যতজনকে পেয়েছি তাদের রায় কার্যকর করেছি। কয়েকজন আসামি বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমরা জেলহত্যা মামলাও শেষ করেছি। আনিসুল হক বলেন, র‌্যাবের উপর স্যাংশন দিয়ে কাজ না হওয়ায় চালু করেছে ভিসানীতি। এ ব্যাপারে আমেরিকার প্রতিনিধি দল আমার বক্তব্য জানতে চাইলে আমি বলি, আপানার দেশের নীতিতে আমার কোনো কথা নেই। এই ভিসানীতি সকলের জন্য হলে আমাদের বলার কিছুই নেই। কিন্তু কাউকে টার্গেট করে করা হলে আমার কিছু বলার আছে। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে অপমানবোধ করি। আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করার স্বপ্ন দেখছিলেন, তখন কিছু বেইমান, মীর জাফর তাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। আমরা বলতে পারি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা গেলে বাংলাদেশকেও হত্যা করা যাবে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারা বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের প্রতিশোধ হবে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বানিয়ে দেখাব, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কোনোদিন মরবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশে মারা যায় না। বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন তৈরি করা হবে। সেই আইন প্রায় ড্রাফট হয়ে গেছে। জনগন সহযোগিতা করলে সেই আইন পাশ করা হবে। আমরা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানাতে চাই। আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য তাদেরকে চিহ্নিত করবো না। বাঙালির সামনে সত্য ইতিহাস উপস্থাপন করার জন্য তাদেরকে চিহ্নিত করবো। কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ প্রমুখ।