মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :১৯৭৮ সাল। নিজ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছে আর্জেন্টিনা। মাঠে নজরকাড়া পারফর্ম করছেন ঝাঁকড়া চুলের মারিও কেম্পেস। আর মাঠের বাইরে সাইডলাইনে ছিলেন একই রকমের লম্বা চুলের একজন মাস্টারমাইন্ড। নাম তার সিজার মেনোত্তি। মুখে সিগারেট ধরে রেখে পাতলা গড়নের এই মানুষটিই আর্জেন্টিনাকে এনে দিয়েছিলেন প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। কিংবদন্তি সেই মেনোত্তি এখন আছেন হাসপাতালের বেডে। দিনকয়েক আগে নিজের ঘরেই পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিছু গণমাধ্যমের দাবি, মেনোত্তির আঘাত এতই গুরুতর, শরীরের ভেতরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও দেখা গিয়েছিল। এরপরেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। অবশ্য সেটাও দিন চারেক আগের খবর। মেনোত্তির শারীরিক অবস্থা নিয়ে অন্য মতও আছে। ইএসপিএনের সাংবাদিক হোসে র্যামন ফার্নান্দেজের সূত্রে মার্কা জানিয়েছিল, কিংবদন্তি এ কোচের জীবন নিয়ে শঙ্কা আছে। কিন্তু আর্জেন্টিনার জাতীয় সংবাদ সংস্থা তেলাম জানিয়েছে, মেনোত্তির শারীরিক অবস্থা ‘অতটা গুরুতর’ নয়।৮৪ বছর বয়েসী সাবেক এই কোচের সেরে উঠতে ঠিক কতদিন লাগবে তা অবশ্য জানাতে পারেনি আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমগুলো। দেশটির ‘ওলে’ পত্রিকা জানিয়েছে, মেনোত্তির শারীরিক অবস্থা যতটা খারাপ ভাবা হয়েছিল, ততটা নয়। মঙ্গলবার বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন ‘এল ফ্লাকো’ নামে পরিচিত এই কোচ। আর মুন্ডোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটা সামান্য শঙ্কা। প্রত্যাশামতোই ধকল কাটিয়ে উঠেছে। সে কারণেই হাসপাতালে ভর্তি করা। আশা করা হচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ আগামী অক্টোবরে ৮৫ বছর পা দিবেন মেনোত্তি। এমন বয়সেও আর্জেন্টিনা ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। আলবিসেলেস্তেদের জাতীয় দলের ডিরেক্টরের পদে আছেন সাবেক এই কোচ। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০২২ বিশ্বকাপে কাতারে দেখা যায়নি তাকে। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে বেশ আগে থেকেই অসুস্থ মেনোত্তি। ২০১১ সালে ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। নিজের ঘর থেকেও খুব একটা বাইরে আসেন না এই কিংবদন্তি কোচ। আর্জেন্টিনাকে ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া মেনোত্তি ৭৫ সালেই জিতিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। যে দলে ছিলেন স্বয়ং দিয়েগো ম্যারাডোনা।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved