জলঢাকা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

হিন্দু ধর্মাবল্বমীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। এই পুজা উৎসবকে ঘিরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা গুলোতে মণ্ডপে  মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। যেন দম ফেলার কোন সময় নেই প্রতিমা তৈরির কারিগর দের। সঠিক সময়ে প্রতিমা ডেলিভারি দেওয়ার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি কাজ করে যাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে ও জানাযায় উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নে গর ধর্মপাল মাঝা পাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। শুধু তাই নয় এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা গুলোতে ঘুরে দেখাযায় সার্বজনীন দূর্গামন্দির গুলোতে খুব সুন্দর ভাবে সুদক্ষ্য কারীগর দ্বারা প্রতিমা তৈরি করছে। কারিগররা কাদা-মাটি, খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এখন উৎসবকে ঘিরে উপজেলার ইউনিয়ন সহ পৌরসভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্ম ব্যস্ততা। দিন রাত কাজ করে শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। যেন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। শুধু তাই নয় নর-নারী, তরুণ-তরুণী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা দেবীর আশীর্বাদ পাওয়ার আশায় দেবীর আগমনের প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে।

প্রতিমা তৈরির কারিগর শ্রীঃ চন্দ রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিমা তৈরি করতে প্রায় ২৪-২৫ দিনের মত লাগে। আর নিদ্রিষ্ট সময়ের মধ্যে মন্দির কমিটির কাছে আমরা প্রতিমা বুঝিয়ে দেব।  অপর দিকে গর ধর্মপাল মাঝা পাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে কোষাধ্যক্ষ শ্রীঃ মন্টু রাম রায় জানায় আমাদের এ মন্দিরে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের মধ্যদিয়ে শারদীয় দূর্গা পূজা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় এই মন্দিরে খুবেই ভালো উৎসব হয় এবং দূর দূরান্তো থেকে ভক্তবৃন্দুগন আসেন ও অনেক সুন্দ ভাবে সাজানো গোছানো হয় এ মন্দির। আমাদের এখানে আনন্দোৎসব ভালোয় হয়। এই মন্দিরে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে চার উপজেলার ভক্তবৃন্দুগন বেশির ভাগেই আসেন। শুধু তাই নয় দূর দূরান্ত থেকেও অনেকে আসে। এখন শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনে ব্যস্ত অনেকেই।