প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১:১৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ৪, ২০২৩, ৮:৩২ অপরাহ্ণ
চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনদিন বেড়েই চলেছে ভুট্টার আবাদ
ছাদেকুল ইসরাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনদিন বেড়েই চলেছে ভুট্টার আবাদ। এ বছরে দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলন। তাই রবি মৌসুমে এক লাখ ৯০ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন ভুট্টা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
সম্প্রতি গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকা দেখা গেছে, ভুট্টা ক্ষেতে সবুজের সমাহার। ধু-ধু বালুচরে এই ক্ষেত থেকে ইতোমধ্যে পরিপক্ক ভুট্টা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছর ভুট্টা থেকে ভালো লাভ করতে পারবেন বলে স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ১৭ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ হয়েছে। যার উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। তবে গত বছর ভুট্টা চাষ হয়েছিল ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টর। এর মধ্যে চরাঞ্চলে ছিল ১০ হাজার ৭০০ হেক্টর। এ বছরে চরাঞ্চলে ১১ হাজার হেক্টর রয়েছে। কৃষকরা ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে অনেকটা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদী বেষ্টিত জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে, ঘাঘট-ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা-যমুনাসহ অসংখ্য নদ-নদী। এসব নদীর বুকে জেগে উঠেছে শতাধিক বালুচর। এইসব চরাঞ্চলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ভুট্টার আবাদেই যেন কৃষকের সোনার ফসল। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছে ভুট্টা চাষে। শুধু চরাঞ্চলের কৃষকরায় নয়, জেলার বিভিন্ন সমতল ভূমিতে এই আবাদ চোখে পড়ার মতো। এটিই তাদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকারি ফসল। চলতি রবি মৌসুমে বপন করা ভুট্টা ক্ষেতে ইতোমধ্যে থোর বেড়িয়ে রঙ বদলাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও এই ফসল ঘরে তোলাও শুরু করছে কৃষকরা।
কামারজানি চরের কৃষক মোতালেব মিয়া জানান, এ বছর বালুভূমিতে পৌনে দুই একর ভুট্টা আবাদ করেছেন। আর কয়েকদিন পর এ ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। এখান থেকে খরচ বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।সাদুল্লাপুর চরাঞ্চলের কৃষক রাজু শেখ বলেন, এ বছর ১ একর জমিতে ভুট্টা আবাদ করে সেই ফসল ঘরে তোলা হচ্ছে। হাইব্রিড সারা-৩০৫৫ জাতের ভুট্টা বিঘাপ্রতি ২৮ থেকে ৩০ মণ পেয়েছি। এতে বিঘাপ্রতি তার খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে ১ হাজার টাকা মণ দামে শুকনো ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে।আরেক কৃষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, ভুট্টা চাষ অনেকটা লাভজনক। কিন্তু কৃষি অফিসের প্রণোদনা ও পরামর্শ পেলে আরও লাভবান হওয়া সম্ভব। কিন্তু সরকারের কোনো সুবিধা আজও কপালে জোটেনি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান জানান, ভুট্টা আবাদ অত্যন্ত লাভজনক। ভুট্টার দানা মানুষের পুষ্টিখাদ্য, গাছ ও সবুজ পাতা গোখাদ্য এবং হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, এ জেলার কৃষকরা ভুট্টা আবাদে আগ্রহী বেশি। তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সার্বিব সহযোগিতা করা হচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved