মোঃ লাভলু শেখ লালমনিরহাট থেকে।।

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর বন্যার পানিতে ভেসে আসছে ভারতীয় সেনা সদস্যর লাশ ও পৃথক স্থান থেকে অজ্ঞাত ২ জনের  মরদেহসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে মরদেহ ৩টির মধ্যে একজন  ভারতীয় সেনা সদস্যর অপর ২ জন অজ্ঞাত ভারতীয়  নাগরিক।

শুক্রবার  ৬ অক্টোবর সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি ঘাট এলাকায় একটি মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ৫ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে একই এলাকার হরিনচওড়া গ্রামে তিস্তা নদী থেকে অন্য একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা ব্রিজ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় সেনা সদস্যর মরদেহ    বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কনেল মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ও লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম এর মাধ্যমে বিএসএফ এর সাথে পতাকা বৈঠক এর মাধ্যমে ওই  সেনাসদস্যর মরদেহ হন্তান্তর করা হয়েছে বলে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ জানান।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রবল বর্ষণে ভারতের সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসে তিস্তা নদীর পানি। ফলে লালমনিরহাটে তিস্তা অববাহিকায় বন্যা দেখা দেয়। বুধবার রাতে বন্যা হলেও বৃহস্পতিবার সকালে পানি কমে যায় তিস্তা নদীতে। পরে কম পানিতে মাছ ধরতে যায় হরিনচওড়া গ্রামের স্থানীয়রা। এ সময় একটি ধান ক্ষেতে মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন তারা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।

শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা কালমাটি ঘাট এলাকায় তিস্তা নদীর চরে কাজে গিয়ে আরেকটি মরদেহ দেখে পুলিশ কে  খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, অজ্ঞাত ২ মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে তারা ভারতীয় নাগরিক। বন্যার পানিতে ভেসে এসেছে।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত হলে মরদেহ ভারতে পাঠানো হবে।