মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরাতে অর্থকরী ফসল সুপারীর উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে বছরে এখন ৪৫০ টন সুপারি উৎপাদন হয়। যার বাজারমূল্য ২০ কোটি টাকারও বেশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, অন্যান্য ফসলের তুলনায় উৎপাদনে তেমন খরচ না থাকায় জেলায় সুপারীর বাগান বাড়ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৩৫০ বিঘা জমিতে সুপারি উৎপাদন হয়েছে ৪৫০ টন। কেজি প্রতি শুকনা সুপারির বাজার দর ৪৫০ টাকা। এ হিসাবে সুপারির বাজারমূল্য ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
গত তিনব ছরের ব্যবধানে জেলায় সুপারি আবাদ বেড়েছে প্রায় ২০০ বিঘা পরিমাণে। ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় মোট সুপারি আবাদ ছিল ১ হাজার ১৫০ বিঘা পরিমাণ, যা বর্তমান ১ হাজার ৩৫০ বিঘা হয়েছে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা কুমিরা গ্রামের কৃষক অরবিন্দু কুমার জানান, তার তিন বিঘা জমিতে সুপারিবাগান রয়েছে। নারকেল বা অন্যান্য ফসলি গাছগাছালির সঙ্গেই মূলত সুপারিগাছ লাগানো রয়েছে। তিনি বলেন, এসব সুপারিগাছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বছর ধরে ফল দিচ্ছে। বছরে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা সুপারি বিক্রি হয়। এসব সুপারি স্থানীয় ব্যাপারীরা বাগান থেকে পাইকারি মূল্যে নিয়ে যায়।
অরবিন্দু কুমার বলেন, তার গ্রামে প্রচুর পরিমাণ পান বরজের পাশাপাশি সুপারিবাগান রয়েছে কৃষকদের। জেলার পাইকারি সুপারি বিক্রয় মোকাম পাটকেলঘাটা বাজারে সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গল ও শুক্রবার পাইকারি সুপারির হাট বসে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ সুপারি উঠে এই হাটে। স্থানীয় ছাড়াও পাশবর্তী যশোর ও খুলনা থেকে পাইকারি ব্যাপারী সুপারি সংগ্রহ করেন পাটকেলঘাটা থেকে। এ বাজারের সুপারি বিক্রয় আড়তদার হযরত আলী জানান, প্রতি সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গল ও শুক্রবার তার আড়তে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার সুপারি ক্রয়-বিক্রয় হয়।
জেলার বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা পাটকেলঘাটা থেকে সুপারি ও পান কিনতে আসেন। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মোড়ের সুপারি ব্যবসায়ী বিপ্লব ভট্টচার্য সোনা বলেন, সুপারি কাঁচা বা শুকনা দুটোই ব্যাপক চাহিদা। তিনি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পান ও সুপারি বিক্রি করেন। কাঁচা সুপারি প্রতি হাজার ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে কিনতে হয়। এছাড়া শুকনা সুপারি পাইকারি দর যাচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পান ও সুপারি আমাদের দেশের খুবই অর্থকরী ফসল। সাতক্ষীরায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সুপারি উৎপাদন হচ্ছে।
এখন অনেকে বাড়ির বসতভিটার সঙ্গেই সুপারিবাগান করছেন, আবার কোনো কোনো কৃষক সাথি ফসল হিসেবেও সুপারির সঙ্গে বিভিন্ন ফসল করছেন। তবে পান এবং সুপারি খুবই লাভজনক ফসল।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved