এরশাদ আলম,জলঢাকা,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
আগে এক সময় গ্রাম বাংলায় বর্ষা শেষে,ডোবা,নালা, নিচু জমি,খাল-বিলে পানি কমেগেলে মাছ ধরা হতো। মাছ ধরার সেই দৃশ্য গুলো এখন আর চোখে পড়ে না। দিন দিন এসব হারিয়ে যাচ্ছে। নদ-নদীর পানি কমে যাবার সাথে সাথে শুকিয়ে যেতে থাকে ক্ষেত-খলা,বিল। তাই গ্রামের মানুষজন দলবদ্ধ হয়ে মনের আনন্দে থালা,বালতি,পাতিল,ডারকি,নিয়ে মাছ ধরতে যায়। আবার কেউবা কাদা পানিতে নেমে হাত দিয়ে মাছ ধরে তাদের আনন্দ টাই ছিলো আলাদা।
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গ্রাম অঞ্চলের মানুষ জন বিভিন্ন ডোবা ,নানা,খাল বিল ও ছোট ছোট খালে মাছ ধরার দৃৃৃশ্য চোখে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে পানিতে টইটম্বুর হয়ে উঠে নদী,নালা, খাল-বিল। পানি বৃদ্ধি পায় এসব জায়গায়। ডুবে যায় ধানী জমি আর নিচু জমি। পানির সাথে সেই জমিতে দেশি জাতের নানা মাছের আগমন ঘটে। এরপর চলে মাছ ধরার উৎসব। রীতিমতো আনন্দ উল্লাস করে লোকজন পুকুর-ডোবা, খাল-বিলের শূন্য পানির কাদার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে তুলে আনে একের পর এক মাছ। আর এসব জায়গায় মেলে নানান প্রজাতির মাছ যেমন, শোল,পুঁটি,টাকি, খলসে,কৈ,মাগুর, শিং, ট্যাংরাসহ দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ।
১০ অক্টোবর দুপুরে সরেজমিনে ও জানাগেছে,
জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম খুটামারা গ্রাম এলাকায় ধাইজান নদীতে একঝাঁক যুবকেরা আনন্দ উল্লাস ও উৎফুল্ল মুখর পরিবের মধ্যদিয়ে হাত দিয়ে একের পর এক মাছ ধরে পাতিলের মধ্য রাখছে এ দৃশ্যটি চোখে পড়ে। এ বিষয়ে অনেকে বলেন, প্রতি বছর বর্ষাকাল শেষ হলে পানি কমে গেলে এই এলাকার নিচু জমিগুলোতে এমন মাছ ধরার উৎসব দেখাযেত। সেই উৎসবে মাছ ধরায় মেতে উঠে নারী-পুরুষ ও ছেলে-বুড়ো সবাই। আগে এমন করে নানা জাতের দেশীয় মাছ প্রচুর ধরা গেলেও এখন আর সেদিন নেই। আগের মতো জমে ওঠে না মাছ ধরার উৎসব। দেশীয় মাছের উৎসগুলো ক্রমেই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। কাদা পানিতে নেমে কে কতো বেশি ধরতে পারে মাছ,এই নিয়ে হয় অলিখিত এক প্রতিযোগিতা। এতে করে মাছ ধরতে আসা মানুষজন যেমন আনন্দ পায় অপরদিকে মাছ ধরা দেখতে আসা মানুষ জনও এ দেখে আনন্দ পায়।