মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের তিনজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৫তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভার তথ্য মতে, শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অপরাধে আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আশিকুল্লাহ, একই বিভাগের সান্ধ্যকোর্সের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন এবং ভর্তি জালিয়াতি করে ভর্তির অপরাধে পপুলেশন সায়েন্সেস আহসান হাবীবকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্ট চলাকালে শিক্ষক ও আম্পায়ারকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদ হাসান আরিফ ও হাফিজুর রহমান এবং ব্যবসায়ী ইনস্টিটিউটের আবু সিনহাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সিনহা ব্যবসা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের নেতা। ভর্তি জালিয়াতি ও সহায়তার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, শেরে বাংলা হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, শারীরিক শিক্ষা ও খেলাধুলা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী শাখাওয়ান হোসেন, লোক প্রশাসনের মাহিবুল মবিন সনেট, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াছির আরাফাত, ফোকলোর বিভাগের নজরুল ইসলাম, ফিশারিজ বিভাগের আলিফ হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ফজলুল করিম মাহিন, লোকপ্রশাসন বিভাগের শিশির আহমেদ, আল শামস তামিম, স্বপন হোসেন এবং আইন বিভাগের শফিউল্লাহকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শিক্ষার্থী মারধরের অপরাধের ফাইনান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান রিফাতের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, র‌্যাগিংয়ের অপরাধে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনসুরেন্স বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য অপরাধে আরও সাত শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে মারধর ও ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা নাঈম ও সোলাইমানকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল শৃঙ্খলা কমিটি। সেই সঙ্গে অনাবাসিক শিক্ষার্থী হওয়ায় তাদের দ্রুত হল থেকে অপসারণ করতে বলা হয়। কিন্তু সিন্ডিকেট সভায় সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাদের শুধু হল থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।