মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ওলটপালট কম করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও কম হয়নি। এসব যেন আর দেখতে ভালো লাগছে না ওয়াসিম আকরামের। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের পর পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার বললেন, ‘দয়া করে মাহমুদউল্লাহকে ওপরে খেলাও।’ বাংলাদেশ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ। তাকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে খেলানোর আলোচনা চলছে বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ নম্বরে নেমে মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি করার পর সেই আলোচনার বাতাস আরও গতি পায়। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও তাকে ওপরে খেলাবে দল, এমনটা প্রত্যাশা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তো নিজেদের পরিকল্পনায় চলবে। তাই ডাচদের সঙ্গে ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতির বদলে অবনতি হয়েছে মাহমুদউল্লাহর। গতকাল তাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয় ৭ নম্বরে। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ৮৭ রানে হারে বাংলাদেশ। ডাচদের দেওয়া ২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪২ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। মাহমুদউল্লাহ যখন ক্রিজে আসেন ততক্ষণে ৬৯ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের। অর্থাৎ বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন তখন অনেকটাই খাদের কিনারায়। মাহমুদউল্লাহও করতে পারেননি কিছু, ফেরেন কেবল ২০ রান করে। বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে হতাশ আকরাম ‘এ স্পোর্টসের’ প্যাভিলিয়ন অনুষ্ঠানে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘দয়া করে মাহমুদউল্লাহকে ওপরে খেলাও। যখন আপনার মিডল অর্ডার ব্যর্থ হচ্ছে, তখন প্রধান ব্যাটসম্যানকে চারে অথবা পাঁচে খেলান। জানি না টিম ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে। কেন মাহমুদউল্লাহ ৭ নম্বরে, আশা করি, কেউ এর কারণটা আমাকে ব্যাখ্যা করবে। যদি তিন উইকেট চলে যায়, মাহমুদউল্লাহকে পাঠাও, এক প্রান্ত আটকে দেবে।’ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্স হতাশ করেছে আকরামকে। তা মতে, ‘২০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ টেস্ট খেলছে। গড়পড়তা পারফরম্যান্সও বাংলাদেশ করতে পারেনি। বিশ্বকাপে আসার আগে অনেক সমস্যার কথা শুনেছি, জানি না এর পেছনে রাজনীতি কী, কারণটা কী? দেশকে রাখতে হবে সবার আগে। ব্যক্তিগত পছন্দ–অপছন্দ আর নিজেদের মধ্যে দূরত্ব থাকবে পরে।’আকরাম আরও যোগ করেন, ‘বলছি না তাদের বিশ্বকাপ জেতা উচিত। তবে অন্তত বড় দলগুলোর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করা উচিত। নতুন ব্যাটসম্যান খুঁজতে হবে। সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, কীভাবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট হবে, কোন উইকেটে হবে।’ ডাচদের সঙ্গে হেরে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের। আগামী ৩১ অক্টোবর তাদের লড়াই পাকিস্তানের সঙ্গে।