প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ২:০১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৪, ২০২৩, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শ্মশানের মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে শ্মশানের মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়া সাড়ডুবি সার্বজনীন মহাশ্মশানে এ ঘটনা ঘটেছে । এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শশ্মানের মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে মহল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ১৯৩৫ সালে ওই শ্মশানটি স্থাপিত হয়। হঠাৎ করে গত কয়েক মাস ধরে শ্মশানের জমি নিজেদের দাবি করছেন মহল, রেজাউল, সাজু, দুলাল, মন্টুসহ আরও অনেকে। এ নিয়ে মন্দির কমিটির সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছিল । শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে দুর্বৃত্তরা ওই শ্মশানের ঘর ও মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ওই মন্দিরের পূজারী নিরু বালা বলেন, আমি সকালে পূজা করে আসি। এ সময় অভিযুক্তরা লাঠি, পাথর ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে বলে ‘এ হিন্দু বেটি তোরা কীভাবে পূজা করিস আয়তো দেখি।’ এ কথা বলেই শ্মশানের মন্দির ভাঙচুর শুরু করে। ভাঙচুর শেষে তারা সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ ফজলুল হক বলেন, আমি আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে দেখে আসছি হিন্দুরা ওই শ্মশানে দাহ করে। শ্মশানের মন্দিরে পূজা করে। শুধু আমি নই, আমার দাদা ও বাবারাও দেখে আসছেন। তাদের কাছেও শুনেছি। হিন্দুরা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা সবাই এক সাথে বসবাস করি। তাদের শ্মশান ভাঙচুর ও মন্দিরে আগুন দেওয়া ঠিক হয়নি। যারা এ কাজ করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা নূর জাহান বেগম বলেন, সকালে অভিযুক্তরা ওই শ্মশানের মন্দির ভাঙচুর করে অগ্নি সংযোগ করে সেখানকার সব কিছু বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বুড়া- সাড়ডুবি সার্বজনীন মহাশশ্মানের সভাপতি স্বপন রায় বলেন, অনেক বছর ধরে আমরা ওই শ্মশান ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে মহল, রেজাউল, সাজু, দুলাল, মন্টুসহ আরও অনেকে শ্মশানের জমিটি নিজেদের দাবি করে আমাদের জমিটি ছেড়ে দিতে বলে। আমরা জমি ছেড়ে না দেয়ায় তারা আমাদের শশ্মান ও মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো মন্দির ভাঙচুর করিনি। তারাই তাদের মন্দিরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ওখানে কোনো শ্মশান ছিল না। ওই জমি আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু দিলীপ কুমার সিংহ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved