মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বছরের অন্য যেকোনো সময়ে ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হলে বছর দেড়েক আগে অ্যামস্টেলভিনে হয়ে যাওয়া ম্যাচটার কথাই আসত ঘুরেফিরে। গত বছরের জুনে নেদারল্যান্ডস সফরে গিয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড করেছিল ৪ উইকেটে ৪৯৮ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড, এক ইনিংসে ২৬টি ছক্কার বিশ্বরেকর্ডও হয়েছিল সেদিন। জস বাটলারের নেতৃত্বে সেই দলটাকে মনে হচ্ছিল বুলেট ট্রেন। এখন সেই একই দলটি বিশ্বকাপে এসে রীতিমতো ছ্যাকড়া গাড়ি। ৭ ম্যাচের ৬টাতেই হার, জয় শুধুই বাংলাদেশের বিপক্ষে। বিশ্বজয়ীর মুকুট মাথায় ভারতে এসে এহেন দুরবস্থা, শিরোপা ধরে রাখা তো দূরের কথা বছর দুই পর আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করাও হয়ে গেছে কঠিন। চলতি বিশ^কাপে ইংল্যান্ডের চেয়ে নেদারল্যান্ডসের জয়ের সংখ্যা বেশি, পয়েন্ট টেবিলেও তারা ইংল্যান্ডের ওপরে। তাই ডাচরা স্বপ্ন দেখছে আরেকটা অঘটনের। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য হারানো সম্মান খানিকটা হলেও পুনরুদ্ধার করে দেশে ফেরা। কাল সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ডের হয়ে এসেছিলেন সহকারী কোচ কার্ল হপকিনসন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বললেন, ‘ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে নামলে গুরুত্বহীন ম্যাচ বলে কিছু নেই। আমার মনে হয় ছেলেরা জানে তাদের সামনে কী আছে। আমাদের সামনে দুটো ম্যাচ আছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে হলে দুটো ম্যাচেই জিততে হবে। আশা করি কাল (আজ) ভালো কিছুই হবে।’ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে এমন ছন্নছাড়া কেন দেখাল সেই প্রশ্নে হপকিনসনের উত্তর, ‘ক্রিকেট খেলাটা হচ্ছে চাপের মুখে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটা খেলা, তাই না? এই দলটা অনেক দিন ধরেই সেটা করে আসছে, সবাই খুবই দক্ষ আর পেশাদার। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আমরা চাপ সামলাতে পারিনি। আমরা কয়েকটা মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, তবে আমরা অনুশীলন করে যাচ্ছি।’ ডাচদেরও এসেছিলেন সহকারী কোচ রায়ান ফন নিকার্ক। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পারা প্রথম আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ হতে পারে নেদারল্যান্ডস, সেটাকে কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে তার উত্তর, ‘আমরা যখন টুর্নামেন্ট খেলা শুরু করি, তখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কথা মাথাতেই ছিল না। দুই বছর ধরে দলটা খুব দারুণভাবে উন্নতি করেছে। এ রকম একটা অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাওয়াটাই খুব আশাব্যঞ্জক, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা বা সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা এসবের চেয়ে দলটা উন্নতি করছে এটাই বড় কথা।’ ইংল্যান্ডকে হারানোর এটাই মোক্ষম সুযোগ কি না, এমন প্রশ্নে দক্ষিণ আফ্রিকান প্রবাদ মনে করিয়ে দিয়েছেন নিকার্ক, ‘আহত মহিষকে খাটো করে দেখতে নেই।’ আহত সিংহরা আরও ভয়ংকর। বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখতে এসে তলানিতে নেমে যাওয়া ইংল্যান্ড এখন সেই আহত সিংহ, ডাচরা কি পারবে আহত সিংহের মরণ কামড় এড়াতে?