মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আজ রবিবার (১২ নভেম্বর) পৃথিবীজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। সারা বিশ্বে মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। প্রথমবারের মত নিউমোনিয়া দিবস পালিত হয়েছিল ২০০৯ সালে। ফুসফুসের প্রদাহজনিত ভয়ংকর একটি রোগ নিউমোনিয়া। বিশেষ করে শীতের সময় শিশু ও বয়স্কদের এ রোগের প্রকোপ বেশি বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকদের মতে, অপুষ্টি, বায়ুদূষণ, টিকা না নেওয়া ও অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। এছাড়া অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান এবং তরুণদেরও হতে পারে নিউমোনিয়া। সারা পৃথিবীতে নিউমোনিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৪৫ কোটি লোক আক্রান্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশু ও বৃদ্ধদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হাড় বেশি হয় এবং শিশুরা বেশি মারা যায়।সাধারণত ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) সংক্রমণ ঘটালে ফুসফুস ফুলে ওঠে, ভরে ওঠে পুঁজে বা তরল পদার্থে, যা অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন ফুসফুসে প্রদাহ হয়। নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো বয়সভেদে বিভিন্ন হয়ে থাকে। শারীরিক অবস্থা এবং জীবাণুর ধরনের ওপর লক্ষণ নির্ভর করে। সাধারণত জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, কাঁপুনি, অতিরিক্ত ঘাম, শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে বুকে ব্যথা, মাথাব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা ও ক্লান্তি এসব লক্ষণগুলো দেখে বোঝা যায় যে কোন ব্যক্তি নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বুকের এক্স-রে, রক্ত এবং কফ/শ্লেষ্মা পরীক্ষা দ্বারা এই রোগ শনাক্ত করা হয়ে থাকে। তবে লক্ষণগুলো বেড়ে গেলে অর্থাৎ অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা বেড়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক, প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। আর নিউমোনিয়া রোধে সবসময় পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে, নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে, সুষম খাবার খেতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যের সামনে হাঁচি/কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/কাশি দেওয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে টিকা দিতে হবে। যেমন- ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর।