আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ
বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরের প্রায় সর্বত্র রোগাক্রান্ত কুকুরের দুর্ঘন্ধে নগরবাসী অতিষ্ট। এই রোগাক্রান্ত কুকুরের গা থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হয়। সাধারন মানুষ তখন মুখে রুমাল দিতে বাধ্য হয়। অনেক সময় এই রোগাক্রান্ত কুকুরগুলি মানুষের বাসায় পর্যন্ত প্রবেশ করছে। স্কুলগামী শিার্থীরা এই কুকুরের সামনে পড়লে কেউ কেউ দৌড় দিচ্ছে এর দুর্গন্ধে। প্রায় এক মাস ব্যাপি এই সমস্যা দেখা দিলেও সান্তাহার পৌরসভা কর্তৃপ কিছু পদপে নিলেও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস কোন প্রদপে গ্রহন করেনি। ফলে মানুষের এই দুর্ভোগ ক্রমেই বেড়েই চলেছে।
সান্তাহার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মানিকুজ্জামান জানান, রাস্তায় চলার সময় এক ধরনের রোগাক্রান্ত কুকুরের সামনে পড়তে হচ্ছে, যে কুকুরের গা থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এই কুকুরগুলো হঠাৎ কারো কারো বাসায় ঢুকে পড়ছে। তিনি বলেন, এই রোগের কি কোন চিকিৎসা নেই। সান্তাহার পৌরসভার প্রধান সড়কের ব্যবসায়ী মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, দুর্গন্ধযুক্ত এই কুকুরগুলির বিষয়ে সান্তাহার পৌরসভার কি কোন ভুমিকা নেই। উপজেলা প্রাণী সম্মদ অফিসই বা কি করছে।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন মোবাইলে বলেন, রোগাক্রান্ত ও দুর্ঘন্ধযুক্ত ৬টি কুকুরকে অনেক কষ্টে মেরে ফেলা হয়েছে। বাকী কুকুরগুলো ধরা যাচ্ছে না। সরকার থেকে আমরা এই রোগের কোন ওষুধ পাইনি।
আদমদীঘি উপজেলা প্রানী সম্মদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, কুকুরের এই রোগের নাম গুরধংরং। এই রোগে আক্রান্ত কোন কুকুরের গায়ে মহিলা মাছি পড়ে সেই মাছি অন্য কুকুরের তস্থানে ডিম পেড়ে ওই কুকুরকে আক্রান্ত করে। এই রোগে আক্রান্ত কুকুরের গায়ে তস্থানে পোকা জন্ম নেয়। পারমেথ্রিন স্প্রে এই রোগ ভাল করে। এই রোগ বছরের এই সময় বেশি হয়। বড়িতে পালিত অথবা এই রোগে আক্রান্ত কুকুরকে আমাদের অফিসে নিয়ে আসলে আমরা চিকিৎসা দেব। কিন্তু একটা উপজেলার সব কুকুরের এই রোগ ভাল করা কঠিন কাজ। এটা সবার দায়িত্ব হিসেবে নিতে হবে। আমি নিজেও এই সমস্যায় আছি।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved