মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ‘বিচ্ছেদের বিষয় আসলেই মেয়েরা সংসার টিকিয়ে রাখতে চায় আর ছেলেরা হয়ে যায় খারাপ। আমার প্রাক্তন স্ত্রী এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছে আমি হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিন্ত না, এই সিদ্ধান্ত দেড় বছর আগের।’ নিজের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেছেন উপস্থাপক রাফসান সাবাব। সোমবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, তার বিয়ের সিদ্ধান্ত হুট করে নেওয়া নয়, আরও বছর দেড়েক আগের। তিনি এই বিয়েটা থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলেন। রাফসান সাবাব বলেন, আমাদের বিয়েটা ছিল ভালোবাসার বিয়ে। অনেক কষ্ট করে পরিবারকে মানিয়ে, রাজি করিয়ে তারপর বিয়েটা করতে হয়েছে। এটা সহজ ছিল না আমার জন্য। কিন্তু আমাদের বিয়ের যখন দেড় বছর পার হলো তখনই মনে হলো যে, এই বিয়েটা আমাদের জন্য হেলদি না। আমি তখনই এই সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি। আমি কোনোভাবেই এই সংসার করতে চাই না। বহুবার তার সঙ্গে এটা নিয়ে বসেছি, আমাদের দুই পরিবার নিয়ে বসে আলোচনা করেছি কিন্তু কোনোভাবেই সেটা হয়ে উঠছিল না। আমি তখনই আলাদা হয়ে যেতে চেয়েছি। প্রয়োজনে বিচ্ছেদের যত প্রক্রিয়া আছে সেটার পর তার আর্থিক সাপোর্ট দিতেও রাজি ছিলাম কিন্তু সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি আমি। এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে সেগুলো বলতে চাই না। তিনি আরও বলেন, আমি দেখলাম যে অনেকেই বিভিন্নরকম মন্তব্য করছেন, আমার সংসার ভাঙার পেছনে অন্য কারও নাম জড়াচ্ছেন, আমাকে চিটার ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টা এমন কিছু না। আমাকে চিটার ডাকতেই পারেন, হোম ব্রেকার বলতে পারেন-এটা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। অনেক অনেক নোংরা মন্তব্য দেখলাম আমাকে নিয়ে। আমি সবার সব নোংরা মন্তব্য মেনে নিতে রাজি আছি কিন্তু তবুও আমি এই সংসারটা কোনোদিন চাই না। ২০২০ সালের অক্টোবরে ভালোবেসে চিকিৎসক সানিয়া এশাকে বিয়ে করেছিলেন রাফসান সাবাব। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিজের বিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তিনি। এর তিন দিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেন তার প্রাক্তন। এশা জানান, তার সম্মতি ছাড়াই তাকে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান রাফসান। এরপর এ বিচ্ছেদের মধ্যে নাম জড়িয়ে পড়ে সংগীতশিল্পী জেফার রহমানের।