মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ইউরোর মূল পর্বে খেলতে হলে জয় ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না ইতালির সামনে। আর গোল বন্যার ম্যাচে সেই বাধা ভালোভাবেই উৎরে গেছে ২০০৬’র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তবে জয় পেলেও ম্যাচটিতে রোমাঞ্চের কমতি ছিল না। এ জয়ে ইউরোর মূল পর্বে সরাসরি খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টায় রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপ থেকে মুখোমুখি হয় ইতালি ও উত্তর মেসিডোনিয়া। ম্যাচটিতে ৫-২ গোলে জয় পায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি। ইতালির হয়ে জোড়া গোল করেন ফেদেরিকো চিয়েসা। একটি করে গোল করেন মাত্তেও ডারমিয়ান, গিয়াকোমো রাসপাডোরি ও স্টেফান এল শারাউই। উত্তর মেসিডোনিয়ার পক্ষে জোড়া গোল করেন জানি আতানাসভ। গত বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের সেমিফাইনালে এই মেসিডোনিয়ার কাছে হেরেই মূল পর্বে খেলতে ব্যর্থ হয় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এবারের ইউরো প্রথম দেখাতেও তাদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাদের। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই মেসিডোনিয়াকে চেপে ধরে ইতালি। তার ফল স্বরূপ ম্যাচের ১৪তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় আজ্জুরিরা। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়লে তা বাতিল হয়ে যায়। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় স্বাগতিকদের। এর তিন মিনিট পর ফেদেরিকো দিমারকো ছোট করে কর্নারে বল দেন রাসপাদোরিকোকে। তার ক্রসে দূরের পোস্টে হেডে বল জালে পাঠান অরক্ষিত দারমিয়ান। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে লিড দ্বিগুণ করার সুযোগ পায় ইতালি। নিজেদের বক্সে এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু জর্জিনহোর নেয়া দুর্বল শট মেসিডোনিয়ার গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে গোল বঞ্চিত হয় ইতালি। এক মিনিট পর নিকোলা বারেল্লার পাস থেকে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করেন ফেদ্রিকো চিয়েসা। বিরতির আগে যোগ করা সময়ে ডমেনিকো বেরারদির পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল আদায় করে নেন চিয়েসা। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইতালি। বিরতি থেকে ফিরে দুই গোল শোধ করে লড়াই জমিয়ে তোলেন মেসিডোনিয়ার বদলি মিডফিল্ডার জানি আটানাসব। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে আলোস্কির পাস থেকে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন জানি। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে জানি দল ও নিজের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে খেলা জমিয়ে তোলেন। কিন্তু ম্যাচের ৮১তম মিনিটে নিকোলা বারেল্লার পাস থেকে গোল করে ম্যাচ নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেন গিয়াকোমো রাসপাদোরি। আর ম্যাচের যোগ করা সময়ে ফেদ্রিকো ডিমারকোর পাস থেকে গোল করে মেসিডোনিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন স্টেফেন এল সারাওয়ে।  এই জয়ে সরাসরি ইউরোর মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো ইতালির। ৭ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্র নিয়ে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে ইতালি। তাতে দলটি উঠে এসেছে ‘সি’ গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে ইউক্রেন। শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে ইতালি-ইউক্রেন।