মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের কালিচরণ মন্ডলের ছেলে কিশোর চন্দ্র মন্ডল। তার নিজ জমিতে শ্বেত চন্দনের গাছের বাগান করেছে। প্রতিদিন এই চন্দন বাগান দেখতে আসেন অনেকে। পৃথিবীতে দামী গাছের ভিতরে চিরসবুজ সুগন্ধি শ্বেত চন্দন তাই এই গাছের বাগান করতে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অসাধারণ একটি দুর্লভ ভেষজ উদ্ভিদ। চন্দনের আছে হাজারো ওষধি গুণ। এই শ্বেত চন্দন গাছ সান্টালাসি পরিবারের সান্টালুম প্রজাতির একটি ছোট চিরহরিৎ রোমহীন গাছ। এই গাছ ১৫-২০ মিটার উঁচু হয়ে থাকে। দেশীয় ফলজ ও বনজ গাছের চেয়ে এই গাছে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আগৈলঝাড়ার বারপাইকা গ্রামের শ্বেত চন্দন চাষের উদ্যোক্তা কিশোর চন্দ্র মন্ডল বলেন, শ্বেত চন্দনে অল্প খরচে অধিকলাভবান হওয়া যায়। তাই আমি আমার নিজ জমিতে ৪২টি শ্বেত চন্দনের গাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি করেছি। এই গাছগুলো রোপন করেছি ১০বছর পূর্বে। আমার এই গাছের বাগান দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে। আমার মত অনেকে বাগান করার জন্য আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে থাকে। হেকিম বুদ্ধিশ্বর মজুমদার বলেন, চন্দনকে ওষধি গুণের খনি বলে মনে করা হয়। এতে অ্যান্টিপায়রেটিক (জ্বর কমানোর গুণ), অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যাস্কেবেটিক এবং মুত্রবর্ধক গুণ পাওয়া যায়। চন্দন কাঠ ব্রঙ্কাইটিস, সিস্টিসিস (মূত্রাশয় ফুলে যাওয়ার সমস্যা), ডিসুরিয়া (পস্রাবের সময় জ্বালা করার সমস্যা) এবং ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রেও সমাধান পাওয়া যায়। রক্ত চন্দনেও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টঅক্সিডেন্ট এবং ব্যথা কমানোর গুণ পাওয়া যায়। তাই সামান্য ব্যথা ফোলার মতো কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য চন্দনের ব্যবহার লাভজনক।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved