মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ে, উত্তরের জেলা শহর মংডু এবং বুথিডং এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব শহরের দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আরাকান আর্মি। সশস্ত্র বাহিনীও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু, কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া ও জাদিমুড়া সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।সকাল ১১টার দিকে তমব্রুতে একটি মর্টার শেল এসে পড়েছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন এবং পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা উপজেলা প্রশাসন ও সীমান্তে বসবাসকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়কে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি না—সে বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়রা আপাতত এখান থেকে কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছর কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ঘুমধুম থেকে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছিল। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনো স্থানীয় জনগণের ভয়ের তেমন কারণ নেই। তবে গত কয়েক দিনের মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দে স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে বিজিবিও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে যাতে রোহিঙ্গা বা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের লোকজন অনুপ্রবেশ করতে না পারে।’ নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুর স্কুলশিক্ষক রূপলা ধর বলেন, ‘প্রতিদিন সীমান্তে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। বুধবার সকালেও আমাদের এলাকায় একটি মর্টার শেল পড়তে দেখেছি। শিশুদের কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছুটি ঘোষণা করা যেতে পারে। হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এর আগে সীমান্তের এই এলাকাগুলোতে মর্টার শেল বা গোলাগুলির তেমন শব্দ শোনা যায়নি। মর্টারের আওয়াজ শুনলে লোকজনকে নিরাপদে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছি। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে যাতে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং মাদক চোরাচালানসহ সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে নাফ নদে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার লুত্ফুল্লাহিল মাজিদ বলেন, ‘আমরা টেকনাফ থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদে দিন-রাত অত্যাধুনিক স্পিড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছি।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved