প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ৩:০৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ণ
এক রাতের ব্যবধানে পলাশবাড়ীতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ৪০ টাকা
গাইবান্ধাঃ জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার প্যর শহরসহ ছোট বড় বাজারগুলোতে পেঁয়াজ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে সব হাটবাজারে এক রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বন্ধ থাকায় হঠাৎ মোকামগুলো থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মজুতকারীরা এ সমস্ত এলাকার সব পেঁয়াজ কিনে নিচ্ছেন। ফলে এসব এলাকার হাটবাজার পেঁয়াজশূন্য হয়ে পড়ছে। এ কারণে পলাশবাড়ী বাজারগুলোতে পেঁয়াজের মূল্য হু হু করে বাড়ছে।রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালিবাড়ী বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়।ব্যবসায়ীরা বলছেন রমজানকে সামনে রেখে অধিক মুনাফা লাভের আশায় মজুতদাররা তৎপর হয়ে উঠেছে। তবে ভোক্তারা বলছেন, এসব ব্যবসায়ীদের অজুহাত ছাড়া কিছুই না, নতুন করে আবারও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মাত্র এক রাতের ব্যবধানে পলাশবাড়ী সব বাজারে পেঁয়াজের কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার রাতেও বাজারে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়। গত সপ্তাহেও বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। বাশকাটা বাজারের খুচরা বিক্রেতা মিলন জানান, শনিবার সকালে স্থানীয় আড়ত থেকে পাইকারি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে কিনেছেন। তিনি খুচরা বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা। পৌর বাজারের বিভিন্ন আড়তে পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০টাকায়। বাজারের চয়ন আড়দের কালিক চয়ন জানান, তিনি শুক্রবার পাইকারি দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ মান ভেদে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। এলসির পেঁয়াজ আমদানি না হলে দাম কমবে না। আড়তদার বিপুল রহমান জানান, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও পাবনা মোকাম থেকে ব্যাপারীরা পেঁয়াজ এনে বিক্রি করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার হঠাৎ ওইসব মোকাম থেকে ঢাকাসহ দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনে নিয়েছেন। ফলে মোকামগুলোতে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে ঢাকা ও দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা একটা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।মাঠেরবাজরের ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানিকারক নুরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র সরকারি পর্যায়ে টিসিবির পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজের সংকট মিটবে না। এদিকে, শুক্রবার বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে হতভম্ব ক্রেতা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত দুই দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ বাজারে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। একদিনের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে। এমন কী হলো যে এক রাতের মধ্যে বাজারের সব পেঁয়াজ শূন্য হয়ে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে গেলো। এ জন্য তিনি বাজার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন।তিনি আরও জানান, এরপরও সরকারি নজরদারির সংস্থাগুলো যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তবে রোজায় হয়তো ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হতে পারে। ব্যাবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved