মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে স্থানীয় পর্যটকদের ভিড় দেখা গেলেও খুবই কম দেখা গেছে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আসা পর্যটকদের। বাহিরের পর্যটক না আসায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়েছেন।
ঈদের দিন থেকে জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। গতকাল ঈদের ৩য় দিন পর্যন্ত পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভিড় ছিল। তবে এসব দর্শনার্থীদের মধ্যে স্থানীয় মৌলভীবাজার জেলা ও হবিগঞ্জ জেলার পর্যটকরাই বেশি রয়েছেন। এর বাইরে অন্য বছরের তুলনায় রাজধানী ঢাকা ও চট্রগ্রামসহ অন্যান্য জেলা থেকে আগত পর্যটকদের দেখা মিলছেনা চায়ের দেশ মৌলভীবাজারে। গতকাল সোমবার মৌলভীবাজার জেলার চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন চা-বাগান, টি-রিসোর্টসংলগ্ন রাবারবাগান, বধ্যভূমি একাত্তর, বিটিআরআই, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, নীলকণ্ঠ, রাধানগর, মণিপুরিপাড়ায় লোকজন বেশি দেখা গেছে। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন পাশের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও মাধবপুর লেকে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ভ্রমণপিপাসুরা। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে জেলা পুলিশ। শ্রীমঙ্গল থানা, কমলগঞ্জ থানা ও পর্যটন পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি ও গ্রান্ড সেলিম রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সেলিম আহমদ জানান, মানুষের ভিড় থাকলেও এসব পর্যটকদের মধ্যে স্থানীয় পর্যটকই বেশি। অন্যান্য বছরের তুলনায় দেশের অন্যান্য স্থান থেকে পর্যটকরা তেমন একটা আসেনি। বেশির ভাগ হোটেল রিসোর্টে ৪০ শতাংশ রুম ভাড়া হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে তেমন আগাম বুকিং নেই। হোটেল রিসোর্টে গেস্ট বেশি হলে রেস্টুরেন্ট, পরিবহনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হয়। এবারের ঈদে বাহিরের পর্যটক না আসায় পর্যটন খ্যাতের ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়েছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved