এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি;
বগুড়ার আদমদীঘির বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে এক সাংবাদিকের দ্বি খ-িত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার মুরইল থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাংবাদিকের নাম মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৫৬)। তিনি দৈনিক ভোরের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে নিজ গ্রামের একটি অনুষ্ঠান শেষে আত্মীয়কে মোটরসাইকেলে করে সাহারপুকুর বাজারে রাখে। পরণে রাত ১১ টার পর তিনি ফিরছিলেন।
পুলিশ বলছে, রাত ১১টার দিকে মঞ্জু মুরইল বাজার অতিক্রম করে জয় ফিলিং স্টেশনের (পেট্রল পাম্প) কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাত কোনো ভারী যানের সঙ্গে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাঁর শরীর দ্বি-খ-িত হয়েছে।
নিহত সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে মেজবাউল মুরসালিন দাবি করেন, তার বাবা সড়ক দুর্ঘটনা নয় বরং তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর বাবার মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে।
সাংবাদিক মিহির কুমার সরকার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মরদেহ এভাবে মাঝামাঝি দ্বি-খ-িত হয় কোনো দিন দেখি নাই। মরদেহটি দেখলে মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিক সমাজের প থেকে দাবি পুলিশ-প্রশাসন সঠিকভাবে তদন্ত করে সাংবাদিক মঞ্জুর প্রকৃত মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করবে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, অজ্ঞাত কোনো বাস বা ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিকে মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।