মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : নোয়াখালীর সেনবাগে সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়িসহ মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন আমির হোসেন (৪৫)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত দা ও ছুড়িসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। গতকাল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকার হোটেল আল-সিরাজের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত ব্যাগের ভেতর থেকে কাপড় দিয়ে মোড়ানো ধারালো দা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আমির হোসেন সোনাইমুড়ীর অম্বরনগর ইউনিয়নের অম্বরনগর গ্রামের মৃত সফি উল্যাহর ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২২ বছর আগে আমির হোসেনের সঙ্গে ফাতেমা খাতুনের (৩৮) বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ২ ছেলে এবং ১ মেয়ে রয়েছে। সংসারে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমির হোসেন প্রায়ই ফাতেমাকে মারধর করত। আমির হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে প্রায় ৬/৭ বছর আগে ফাতেমা তার সন্তানদের নিয়ে সেনবাগ থানার অজুর্নতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে তার বাবার বাড়ির পশ্চিম পাশের জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতে শুরু করে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে আমির হোসেন তার ভাই বেলাল হোসেনকে নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ফাতেমা, মেয়ে রাহেলা আক্তার (২০) ও মা মাফিয়া বেগমকে (৬০) কুপিয়ে জখম করে। পরে ফাতেমার ভাই স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। ফাতেমার ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার দ্বিতীয় আসামি বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করলেও প্রথম আসামি আমির হোসেন পলাতক ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় আমির হোসেনকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত ছিল। গতকাল তাকে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তার কাছ থেকে ব্যবহৃত দা ও ছুরি জব্দ করা হয়েছে। আসামি জানান, সে ৩৫০ টাকায় দা টি ক্রয় করেছিল। নতুন হওয়ায় মায়ায় সেটি কোথাও ফেলেনি। দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় প্রথম স্ত্রী কুবুদ্ধি ও কুপরামর্শ দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমরা তাকে আদালতে সোপর্দ করব। আশা করি খুব দ্রুত চার্জশিট দিতে পারব। সংবাদ সম্মেলনে ডিআইওয়ান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সেনবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দীন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিনসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved