দুগ্ধজাত খাবার
উচ্চতার জন্য দুধের পাশাপাশি দুগ্ধজাত খাবারও খাওয়া উচিত। দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, দই, হুইপিং ক্রিম এবং ঘরে তৈরি আইসক্রিম ভিটামিন এ, বি, ডি এবং ই সমৃদ্ধ। এগুলোতে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামও থাকে। ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন ডি-এর অভাবের ফলে উচ্চতা কম হতে পারে। পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধির সময়।
স্টার্চ এবং শস্য
স্টার্চ এবং শস্য আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। এছাড়াও এগুলো ভিটামিন বি, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম সরবরাহ করে। যেহেতু প্রয়োজনীয় ক্যালোরি সরবরাহ করে তাই এগুলো নিয়মিত খাওয়া উচিত, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধির সময়, যখন শিশুরা দ্রুত বৃদ্ধির পর্যায়ে যায়। বাদামি চাল, পপকর্ন, পুরো গম এবং পুরো শস্যের পাস্তা সঠিক বৃদ্ধির জন্য উপকারী।
ডিম
ডিম প্রোটিনেরও ভালো উৎস। এর সাদা অ্যালবুমেনে শতভাগ প্রোটিন রয়েছে। ডিমেও ভিটামিন বি২ থাকে, যা রিবোফ্লাভিন নামেও পরিচিত। উচ্চতা বাড়াতে ছোটবেলা থেকেই শিশুর ডায়েটে ২-৪টি ডিম রাখতে হবে।
সবুজ পাতাযুক্ত সবজি
গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবার, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম থাকে। সামগ্রিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এগুলো অপরিহার্য। সেজন্য আপনি যদি চান আপনার সন্তান লম্বা হোক, তাহলে তার উচ্চতা বাড়াতে খাবারে সবুজ শাকসবজি রাখুন।
সয়াবিন
সব নিরামিষ খাবারের মধ্যে সয়াবিনে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। সয়াবিনে থাকা বিশুদ্ধ প্রোটিন হাড় এবং টিস্যুর ভর উন্নত করে। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য, প্রতিদিন ৫০ গ্রাম সয়াবিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিরামিষাশীরা তাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে সয়াবিন থেকে, যা অত্যন্ত পুষ্টিকর।
কলা
আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়াতে কলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফল। এটি পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, দ্রবণীয় ফাইবার, ভিটামিন বি ৬, সি, এ এবং স্বাস্থ্যকর প্রিবায়োটিকের মতো অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এটি এমন একটি খাবার যা প্রতিদিন খেতে দিতে পারবেন। সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য সুষম খাদ্য তৈরি করতে গেলে কলার প্রয়োজন হবেই।
মাছ
মাছ উচ্চতা বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে থাকে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ১০০ গ্রাম স্যামনে ২.৩ গ্রাম ওমেগা -৩, সেইসঙ্গে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন রয়েছে। ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য এবং ইমিউন সিস্টেমের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের বৃদ্ধি এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।