মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ ছাত্র আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে জামালপুর শহরের বনপারা এলাকায় নিরিবিলি মেসের সামনে প্রথম দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় আবার রাত ১০টায় বনপারা কবরস্থানের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় স্থানীয় একদল বখাটে। আহতরা হলেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান, মনির হোসেন, ফাহিম, রিয়াদ, জোবায়েদ, গুলজার, আব্দুল কাদের জিলানী ও ইউনুস শুভ। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল নোমান ও মনির হোসেনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বাকি শিক্ষার্থীরা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী রাতে চা পান করতে বের হলে এসময় স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক তাদের পথরোধ করে গালিগালাজ করেন এবং এক ছাত্রের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় বাকিরা বাধা দিলে তাদের আক্রমণ করা হয়। আরও কয়েকজন স্থানীয় যুবক এসে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পরে রাত ১০টার দিকে ওই যুবকদের কাছে থেকে ফোন ফিরিয়ে নিতে গেলে বখাটে শিক্ষার্থীদের ওপর দলের সদস্যরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে ছুড়ি, কেচি, লাঠি ও ইট দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আমি, আমার বন্ধু ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে রাতে চা খেতে বের হই। আমাদের মেসের সামনেই থাকা কিছু বখাটেরা আমাদের পথ আটকে ধরে। তারা কয়েকজন মাতাল অবস্থায় ছিল মনে হচ্ছিল। তখন আপনাআপনি আমাদের বকাঝকা ও ধাক্কানো শুরু করে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিলে আমাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে আমার ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় রিকশায় আরও তিনটা ছেলে এসে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। এক পর্যায়ে আমাদের মেসের মালিকও নিচে চলে আসে। মালিকের সঙ্গেও বখাটেদের কথা কাটাকাটি হয়। তখন আমরা মেসের গেটের মধ্যে চলে গেলে সেখানে থেকে সমাজকর্মের দ্বিতীয় ব্যাচের সামিউল ভাইকে টেনে বাইরে নিয়ে নিয়ে মারতে শুরু করে। পরের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তখন অনেকেই আমাদের এখানে আসে। ততক্ষণে বখাটেরা চলে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে আমরা শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ফিরিয়ে আনতে ও কথা বলতে গেলে। তারা অতর্কিতভাবে ছুড়ি, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা জানতাম না যে তারা আমাদের ওখান থেকে এসে পরিকল্পনা করে ছুড়ি, লাঠি নিয়ে বসে আছে। আমরা সবাই খালি হাতে ছিলাম। তাদের এই অতর্কিত হামলায় কাপড় সেলাই করে কেচি দিয়ে আমার হাতে, কারো পিঠে আবার কারো পায়ে কুপিয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ লাঠি ও ইট দিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ইউসুফ আলী বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের আমরা আগে চিকিৎসা দিচ্ছি। এই ঘটনায় হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। দুপুরের মধ্যেই আমরা শনাক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করব। জামালপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত কবীর বলেন, এই ঘটনার পরে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, এখন আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved