মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীতে আগুনে অন্তত ১২টি গুদাম পুড়ে গেছে। গুদামগুলোতে মজুদ করা চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাইকারি বিক্রি করা হতো। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশে কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার। স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশে অবস্থিত কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। গুদাম গুলোতে পেঁয়াজ, আলু, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল মজুদ করা ছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হঠাৎ গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন, সেই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসেও খবর দেন তারা। আগুন গুদামে মজুদ করা পেঁয়াজ, চাল, আলুসহ কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রূপসী বাংলা চালের আড়তের মালিক মো. ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আগুন মুহূর্তে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আড়তে প্রায় ৫হাজার বস্তা চাল ছিল। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মেসার্স সবুজ এন্ড ব্রাদার্সের মালিক সবুজ মাতব্বর বলেন, আড়ত বন্ধ করে বাসায় পৌঁছে লেবারদের কাছে জানতে পারেন পাশের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে বাসা থেকে এসে দেখেন দোকানের সামনে অংশ ও ভেতরে মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথম টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকায় পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরো দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেন নি আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার। তদন্তের পর এসব তথ্য জানা যাবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।