মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : দাড়ি মুসলিম পুরুষের অন্যতম নিদর্শন। আরবি ভাষায় দাড়িকে বলা হয় লিহইয়া বা লাহয়া। এর আভিধানিক অর্থ হলো থুতনিসহ মুখের দুই পাশের ওই হাড়, যার ওপর দাঁতগুলো অবস্থিত। প্রাপ্ত বয়সে ওই হাড়ের ওপর যে লোম বা কেশ গজায়, ওই লোম বা কেশগুলোকেই হাড়ের নামকরণে লিহইয়া বলা হয়।
বহু আরবি ও ইসলামী অভিধান, গ্রহণযোগ্য ফিকহ ও হাদিসের ব্যাখ্যা গ্রন্থের বর্ণনা মতে, 'চেহারার সর্বদিকে মোচ ছাড়া চুলের মতো যে পশম বয়সের অনুপাতে গজায়, তা সবই শরয়ি পরিভাষায় দাড়ির অন্তর্ভুক্ত।
হাদিস-সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী দাড়ি রাখা ওয়াজিব। আল্লাহর রাসুল (সা.) দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল সা. মোঁচ কাটার ও দাড়ি লম্বা করার আদেশ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১/১২৯)
ইসলামী আইনবিদদের সর্বসম্মতিক্রমে দাড়ি বলা হয় দুই চোয়ালের দাঁতবিশিষ্ট হাড়ের ওপর গজানো পশম এবং কান ও চোখের মধ্যবর্তী স্থানে গজানো সারিবদ্ধ পশমকে।
কোনো কোনো ইসলামী আইনবিদের মতে, ঠোঁটের নিচের অংশে গজানো পশম ও নাকের উভয় দিক সংলগ্ন গালের ওপর গজানো ও থুতনির নিচের নরম অংশে গজানো পশমও দাড়ির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এসব পশম কাটা বা উপড়ানো অনুচিত। (রদ্দুল মুহতার : ১/১০০, ৫/৩৭৩, হিন্দিয়া : ৫/৩৫৮)
দাড়ি এক মুষ্টি বা চার আংগুল পরিমান লম্বা রাখতে হবে। এক মুষ্টির কম রাখা বা একেবারে তা মুণ্ডিয়ে ফেলা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম এবং কবিরা গুনাহ।
স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাড়ি রাখা এবং তার অসংখ্য হাদীসে উম্মতের প্রতি দাড়ি রাখার সাধারণ নির্দেশই প্রমাণ করে যে, দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং না রাখা হারাম।
ফিকহ শাস্ত্রের একটি মূলনীতি হচ্ছে, ‘শরী‘আত প্রবর্তক কর্তৃক কোনো বিষয়ের প্রতি সাধারণ নির্দেশ আসলে তা পালন করা ওয়াজিব এবং বিপরীত করা হারাম’।
এছাড়া সাহাবা, সালাফে সালেহীন এবং ফক্বীহগণের দাড়ি রাখার নিরবছিন্ন আমল এবং তাদের বিভিন্ন উক্তিসমূহের দ্বারাও এক মুষ্টি পরিমাপ লম্বা দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এর বিপরীত করা হারাম সাব্যস্ত হচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved