মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ৬ জুন বাজেট দেব। বাজেট আমরা ঠিকমতো দিতে পারব, বাস্তবায়নও করব। দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি কিছুটা হয়তো কমবে, সেটা পরবর্তী সময়ে উত্তরণ করতে পারবো, সে আত্মবিশ্বাসও আছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায়। হাটবারের বাইরে কিছু পাওয়া যেত না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে। আমাদের গ্রামের বাজার পাটগাতি থেকে ঈদের আগে ২০০ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প কলকারখানা বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজ অর্থনীতি সমিতির প্রোগ্রামে আসছি। এখানে অনেকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি আছে। আমার কিন্তু তা নেই। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেছি। অর্থনীতির সুক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। এতটুকু বুঝি, কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। কীভাবে মানুষের উপকার হবে। আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেই আমি এটা শেখেছি। তিনি তো বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। যতক্ষণ বাইরে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন- কীভাবে তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান, কীভাবে গ্রামগুলোকে সাজাবেন।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, চেয়েছিলেন এ দেশে মানুষ অন্তত দুই বেলা দুই মুঠো খেয়ে বাঁচবে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ পাবে। উন্নত জীবন পাবে, এটাই ছিল তার স্বপ্ন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ ছিল শূন্য। এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে হাত দেন। প্রণয়ন করেন দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এতে তিনি কৃষি ও শিল্পের পুনর্গঠন, উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য নিরসনকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ঢেলে সাজান। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রা প্রচলন করা হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের সেরা অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা মাত্র ৩ বছরে তা ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগ অর্জন করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved