প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৫:৩২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ৯, ২০২৩, ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
রবিউল হক রতন,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডোমারে ডাকাতির ঘটনায় ০৩ জন গ্রেফতার করে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
ডোমারে ছোট রাউতা ব্রাহ্মন পাড়ার পুরহিত জনৈক শ্রী বিজয় চক্রবর্তীর বসত বাড়ীতে গত ৩০ এপ্রিল ভোর রাতে ০৮/১০ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত দল মুখে কালো রং মেখে মাস্ক পড়ে বিজয় চক্রবর্তীর বসত ঘরের দরজা ও সিটকিনি ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী, কন্যা ও ছেলেকে ছোড়া দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে আলমারি ভংচুর করে নগদ ১,৮৮,০০০/- (এক লক্ষ আটাশি হাজার) টাকাসহ ২ ভরি ২ আনার স্বর্নালংকার, ৪ ভরি রুপার অলংকার, কাসার প্লেট ০৩টি, কাসার বাটি ০৪টি, কাসার গ্লাস ০৪ টি ও ০৫ টি মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ২,৯২,০০০/- (দুই লক্ষ বিরানব্বই হাজার) টাকার মালামাল লুন্ঠন করে চলে যায়।
ঘটনা শোনার পর পরই পুলিশ সুপার, নীলফামারী জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), সহকারি পুলিশ সুপার, ডোমার সার্কেল, অফিসার ইনর্চাজ, ডোমার থানা, অফিসার ইনর্চাজ, ডিবি, নীলফামারীসহ পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর পহেল মে অজ্ঞাতনামা ১২/১৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা রুজু করে ডোমার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাসুদ করিমকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দ্বায়ীত্ব দেয়া হয়।
এ মামলাটিকে চাঞ্চল্যকর হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ সুপার মোঃ আমিরুল ইসলাম নিজে মামলাটির তদারকির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মামলার তদন্ত কাজে সহায়তা করার জন্য ০৫ সদস্যের বিশেষ টিম গঠন করা হয়।
নীলফামারীর পুলিশ সুপারের সার্বিক তত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) টেকনোলজিক্যাল সহায়তায় সহকারি পুলিশ সুপার, ডোমার সার্কেল আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর নেতৃত্বে মাহামুদ উন-নবী, অফিসার ইনচার্জ, ডোমার থানা ও রওশন কবীর, পুলিশ পরিদর্শক, ডিবি সহ ডোমার থানা পুলিশ ও জেলা ডিবির যৌথ টিম ঘটনার পর হতে একটানা অভিযান পরিচালনা করে গত ০৭/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ নীলফামারী থানাধীন সিংদই জেলেপাড়া হতে ডাকাতির ঘটনার সহিত জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন, নীলফামারী সদর উপজেলার বেড়াডাঙ্গা জেলেপাড়া এলাকার ১. শ্রী রবি চন্দ্র দাস এর ছেলে শ্রী অনিল চন্দ্র দাস (২৯), ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা এলাকার মৃত কালী দাসের ছেলে ২. রঙ্গিয়া দাস (৫০), সৈয়দপুর লক্ষনপুর সরকারপাড়া এলাকার মোঃ কাজিমুদ্দিনের ছেলে ৩। নজু মামুদ@নজরুল (২৭)।
শ্রী অনিল চন্দ্র দাস এর বিরুদ্ধে নীলফামারী সহ অন্যান্য জেলায় আরো ০৪ টি ও রঙ্গিয়া দাস এর বিরুদ্ধে নীলফামারী জেলায় আরো ০১ টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী বলেন, আসামীদের কাছে এ পর্যন্ত ১০,০০০/- (দশ) হাজার টাকা, লুন্ঠিত বাটন মোবাইল ফোন ০১ টি, আসামীর নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সিম ০১ টি (যা লুন্ঠিত অপর একটি মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত), কাসার প্লেট ০১ টি, কাসার বাটি ০২ টি, কাসার গ্লাস ০১ টি লুন্ঠিত মালামাল পাওয়া গেছে এবং অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের নিমিত্তে অভিযান অব্যহত আছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ডাকাত দলটি নীলফামারী/রংপুর/দিনাজপুর/ঠাকুরগাঁও এই চার জেলার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। এদের অধিকাংশই জেলে সম্প্রদায়ের বিপদগামী সদস্য। এই অধিকাংশ জেলে সম্প্রদায়ের বিপদগামী সদস্য মিলে একটি কুখ্যাত ডাকাত দল গঠন করে চক্রটি বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা বিভিন্ন ডাকাতি/চুরি কার্যক্রমের সাথে জড়িত।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিস্তারিত তথ্য আমরা পেয়েছি এবং এদেরকে গ্রেফতার সহ জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর সংশ্লিষ্ট শাখা আমাদের বিশেষভাবে সহযোগিতা করছেন।