নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সারা দেশে গ্রামীণ হাটবাজারের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় (সিডিএসপি) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) যৌথ উদ্যোগে সুবর্ণচরে বিভিন্ন হাট বাজার উন্নয়নে দোতলা মৎস্য শেড,কাচাঁবাজার শেড, স্যানেটারি টয়লেট, গভীর নলকূপ স্থাপন, ময়লার ডাস্টবিন, নির্মাণসহ ১১টি ক্যাটাগরির কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়।
উক্ত দরপত্র অনুযায়ী সুবর্ণচরে ১টি শেড নির্মাণ কাজের টেন্ডার পেয়েছেন মের্সাস কাজী এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ০৭ নং পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব সেলিম বাজারে ১টি শেড নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে দুইটি শেড নির্মাণ কাজের টেন্ডার হলেও একটি শেডের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অপর শেডের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্যে ঠিকাদার ও তার লোকজন কে হুমকি,ধামকির অভিযোগ তুলেন ঠিকাদার কাজী হেলাল।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজী এন্টার প্রাইজের মালিক গণমাধ্যমকে জানান , ০৩নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মাহে আলম সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন। আমাকে ও আমার লোকজন কে প্রকাশ্য বাজারে হুমকি,ধামকি দিয়ে যাচ্ছে নির্ধারিত স্থানে কাজ না করতে। তাই শেড নির্মাণ কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
পূর্ব সেলিম বাজারের বর্তমান সেক্রেটারি মোঃ সিরাজ (৪৭) জানান, আমাদের পুরা বাজারটি সরকারি খাস খতিয়ানের অন্তরভূক্ত। বাজার উন্নয়নের স্বার্থে পাশাপাশি দুইটি শেড নির্মাণ করার কথা থাকেলে ও কিন্তুু ভুয়া মালিকানা দাবি তুলে একটি শেড নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেই সাবেক ইউপি সদস্য মাহে আলম।
আমরা নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মহোদয়, এমপি মহোদয়,সুবর্ণচর ইউএনও ও নবাগত উপজেলা চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাদের বন্ধ থাকা শেডের কাজটি নির্ধারিত স্থানে দ্রুত সময়ে নির্মাণ যেন করা হয়।
বাজারের উন্নয়ন ও জনস্বার্থে আরো জোড়ালো দাবি তুলেন প্রশাসনের নিকট ব্যবসায়ী ও বাজারের স্বার্থে সাবেক বাজার কমিটির সেক্রেটারী মোঃ আবুল কাশেম (৫৫)। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায়ী মোঃ ডাঃ ওমর ফারুক (৩৮), মোঃ দিদারুল আলমসহ (৪৫) প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে, সাবেক ইউপি সদস্য মাহে আলমের সাথে যোগাযোগ করার হলে তিনি জানান,আমি এমপি সাহেব কে বিষয়টি জানিয়েছি। এই শেড আমার জায়গা আছে,তাই কাজ বন্ধ রাখতে ঠিকাদার ও তার লোকজন কে বলেছি।
হুমকি,ধামকির মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। আর এমপি সাহেব ঠিকাদার কে বলেছেন অন্য স্থানে এই শেড নির্মাণ করতে। তাহলে আমি কাজ বন্ধ করে দিলাম কি করে? আপনারা বলেন?
উপজেলা (এলজিইডি) শেড নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল আলম জানান, কাজ বন্ধের বিষয়ে আমাকে কেউ বলেনি। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ নিয়ে আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিবো।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমিন সরকার সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে কে জানান, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।