গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রাব্বি মিয়া (২৬), পাপুল মিয়া (৩০), ইসমোতারা বেগম (২৬)। তারা সবাই পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিরামেরভিটা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় ও মামমলা সূত্রে জানা গেছে, বিরামেরভিটা গ্রামের চান্দু মিয়া ও দুলা মিয়ার সঙ্গে ভাজিতা আরিফুজ্জামানের ২ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়রা সমাধানের জন্য একাধিকবার গ্রাম্যসালিশ করেছিল। কিন্তু সমাধান করতে পারেনি। গত মাসের (১৮ মে) শনিবার সকালে চান্দু মিয়া ও দুলা মিয়া তাদের লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ লাগাতে যায়। এসময় ভাতিজা আরিফুজ্জামান গাছ লাগাতে বাধা দেয়। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিকর্ত হচ্ছিল। খবর পেয়ে আরিফুজ্জামানের বোন পাপিয়া বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে থামতে বলেন। এসময় উত্তেজিত অবস্থায় দুলা মিয়ার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে পাপিয়া বেগমের গলায় আঘাত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পাপিয়া বেগমকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় ওই রাতে পলাশবাড়ী থানায় নিহত পাপিয়া বেগমের ভাই আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এমামলায় ৮ জন নামনীয় ও ২/৩ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান বলেন, আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে। এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।