মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর ৩০ মিনিট পর গলায় ফাঁস দিয়ে এক মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (৫ জুন) সকালে নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহতরা হলেন নোয়াখালীর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীর একটি কলেজে পড়ত। পড়ালেখা অবস্থায় সে এক মুসলিম বিয়ে করে। বিষয়টি তার বাবা জানতে পেরে তাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার রাতে মেয়েকে স্বামীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে বুঝানোর চেষ্টা করেন বাবা। কিন্তু মেয়ে তার স্বামীর পক্ষে অনড় ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের ছোট ছেলে স্কুলে যাওয়ার সময় বাবার কাছে টাকার জন্য গেলে দেখে তার নিথর দেহ দেখতে পায়।পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসে। তিশা বাবার এ অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আলাদা একটা কক্ষ গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে।
সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, নরেশ কিডনিজনিত রোগী ছিলেন। তিনি বাসায় ডায়ালাইসিস করতেন। তার মেয়ে ফেনী মেডিকেলে পড়ত। সেখানে একজন মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে। বিষয়টি তিনি ভালোভাবে নেননি।
ওসি রনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এসব বিষয় নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার একপর্যায়ে মেয়েটির বাবা হার্ট অ্যাটাক করে করে মারা গেছেন। পরে মেয়েটিও আত্মহত্যা করেন। বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved