খেলার ১৮ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেস কর্নার শট নেন। সেই শট থেকে বল পেয়ে সোজা আইরিশদের জালে জড়ান জোয়াও ফেলিক্স। তাতে শুরুতেই এস্তাদিও মিউনিসিপাল দে এভেইরোতে লিড নেয় স্বাগতিকরা।
তবে তাতেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। বিশেষ করে অধিনায়ক রোনালদো। সতীর্থের গোলের পর তিনিও ক্ষুধার্থ হয়ে ওঠেন গোলের জন্য। আর তাই চার মিনিট পর রোনালদো দূর পাল্লার এক শট নেন। তবে সেটা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দলটি।
বিরতি থেকে ফিরে রোনালদো গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন। ৫০ মিনিটে নেভেসের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে বাঁ পায়ের জোড়ালো এক শটে দুর্দান্ত গোল করেন তিনি। ১০ মিনিট পর জোতার বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে পান আরও একটি গোল। তাতে দেশের হয়ে ২০৭ ম্যাচে ১৩০তম গোলের দেখা পেলেন তিনি।
২০০৪ সালে প্রথম ইউরো খেলা রোনালদো ২০১৬ সালে টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের স্বাদ পান। ৩৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার এখন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। ধারণা করা হচ্ছে এবারই অবসর নিতে পারেন তিনি। সম্ভবত জার্মানিতে এই আসরের পর ফুটবলকেই বিদায় জানাতে পারেন তিনি। এমন জল্পনাও রয়েছে।
তবে তার সতীর্থ রুবেন নেভেস ম্যাচ শেষে তার ভূমিকা এখনও ফুরিয়ে যায়নি মন্তব্য করে বলেছেন, ‘অভূতপূর্ব। তার সঙ্গে খেলতে কেমন লাগে তা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। আজ আরও দুটি গোল, ইউরোর প্রস্তুতি ম্যাচটা সে দারুণভাবে শেষ করেছে, তাই প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা জানি, জাতীয় দলকে সাহায্য করতে সে ২০০ শতাংশ দেবে এবং আমরা আরও গোল করার জন্য তার ওপর নির্ভর করি।’
আগামী ১৯ জুন চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পর্তুগালের ইউরো মিশন। এফ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ তুরস্ক ও জর্জিয়া।