গাইবান্ধাঃ জেলার পলাশবাড়ী-গোবিন্দগঞ্জে যানবাহনে ধীরগতি, গন্তব্যে পৌঁছিতে ভোগান্তি।
জানা যায়,ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে ধীর গতির জন্য গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে ঢাকাগামী যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহর ও পলাশবাড়ীর চারমাথা মোড়ে যানজট যেন নিত্য সঙ্গী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে পান্থাপাড়া ও থানামোড় থেকে দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কে মৌসুমি তেলের পাম্প পর্যন্ত ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। অন্যদিকে পলাশবাড়ীর ব্র্যাক মোড় থেকে বিনোদন পার্ক ড্রিমল্যান্ড পর্যন্ত একই অবস্থা।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় চার বছর পূর্বে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী এলাকায় মহাসড়কে চারলেন প্রকল্পে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। সেই থেকে যানজটের কবলে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির জন্য এই মহাসড়কে যানজট দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি জমা এবং সরু রাস্তার কারণে যাত্রীবাহী বাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহন অত্যন্ত ধীরগতিতে চলাচল করছে।
পলাশবাড়ীর চারমাথা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা রংপুর থেকে ছেড়ে আসা এস আর পরিবহনের শাহিন নামে এক যাত্রী বলেন, পলাশবাড়ীর ব্র্যাক মোড় থেকে চারমাথা মোড়ে আসতে ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। অথচ এই পথ নাকি দুই চার মিনিটের। এখন বাসটি কচ্ছপের গতিতে চলছে। শুনছি গোবিন্দগঞ্জেও নাকি জ্যাম আছে। কোন সময় যে ঢাকায় পৌঁছাতে পারব তা বলতে পারছি না।
পলাশবাড়ী বাস মিনিবাস ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সোবাহান বলেন, গত দুই দিনের তুলনায় আজকে যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। গাইবান্ধা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় ধীর গতিতে চলছে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসগুলো। টার্মিনাল এলাকা কোনোভাবে পার হলেও পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ অংশে যাত্রীবাহী বাসগুলো যানজটের কবলে পড়ছে। মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ঈদের কর্ম ফেরার জন্যই ঢাকাগামী যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে মহাসড়কে চাপ বেড়েছে। তাছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী অংশে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের উন্নয়ন কাজের কাজ চলার কারণে যানবাহনগুলো কিছুটা ধীরগতিতে চলাচল করছে। তবে এই দুই অংশে আজকে দীর্ঘমেয়াদী যানজট নেই। গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী অংশে রাস্তায় খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমার কারণে যাত্রীবাহী বাসগুলো ধীরগতিতে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।