প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ১২:৪৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১২, ২০২৪, ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
মোঃ লাভলু শেখ লালমনিরহাট থেকে।।
বিচিত্র রুপ
লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি শুক্রবার ভোর বেলা থেকে কমলেও ভয়াবহ ভাংঙ্গন অব্যহত।। পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা জেলায় ২০ হাজার থেকে কমে ৫ হাজারে নেমেছে । তবে ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের মাঝে দূভোগের যেন শেষ নেই। চাহিদার তুলনায় এান কম।
জানা গেছে,
লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কিছুতা কমলেও ভয়াবহ নদীর ভাঙ্গন অব্যহত। লালমনিরহাট জেলায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে পড়েছে তিস্তা ও ধরলা নদী পাড়ের হাজারো পরিবার।
হুমকির মুখে রয়েছে বিদ্যালয়, মসজিদ ও মাদ্রাসা। প্রতি বছর নদী ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে বসতভিটা আর আবাদি জমিসহ নানা স্থাপনা। ২ দিকের ভাঙনে জেলার মানচিত্র প্রতি বছর সংকুচিত হয়ে আসছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুজ্জামান সরকার বাদল শুক্রবার ১২ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ বিকেল সাড়ে ৫ টায় জানান, তার ইউনিয়নে ১৬ শত পরিবার পানিবন্দী হলেও শুক্রবার ভোর বেলা থেকে পানি কমে যাওয়ায় এখন ২ শত পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের মাঝে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন এান বিতরণ করা হয়েছে। তবে চাহিদা তুলনায় সামান্য। বন্যাকবলীত ও নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে পযাপ্ত পরিমাণে এান বিতরণের জোড় দাবী জানান, এলাকাবাসী।
জেলায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হলেও শুক্রবার ভোর বেলা থেকে পানি কমে এখনো ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এদিকে
উত্তর-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের নদী সমূহের পানি সমতল সম্পর্কিত পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ বার্তা (১২ জুলাই, ২০২৪ খ্রি.)
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে, অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘন্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে ধরলা ও দুধকুমার নদী কতিপয় পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যমুনেশ্বরী, করতোয়া, ইছামতি-যমুনা ও আত্রাই নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে, অপরদিকে মহানন্দা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী ২৪ ঘন্টায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আত্রাই নদী সংলগ্ন সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত স্টেশন (সে.মি.):
নুনখাওয়া (ব্রহ্মপুত্র) +২৫, হাতিয়া (ব্রহ্মপুত্র) +১৯, চিলমারী (ব্রহ্মপুত্র) +৩৯, ফুলছড়ি (যমুনা) +৪১, বাহাদুরাবাদ (যমুনা) +৫৫, সাঘাটা (যমুনা) +৪৮, সারিয়াকান্দি (যমুনা) +৪২, কাজিপুর (যমুনা) +২৫, জগন্নাথগঞ্জ (যমুনা) +৯৪, সিরাজগঞ্জ (যমুনা) +৪৫, পোড়াবাড়ী (যমুনা) +২০, বাঘাবাড়ি (আত্রাই) +১৫।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.): দিনাজপুর ৯০.০, নওগাঁ ৮৯.০, আত্রাই (নওগাঁ) ৭২.০, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৬৪.০।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.): গ্যাংটক (সিকিম) ৫৭.০ এবং শিলিগুড়ি (পশ্চিম বঙ্গ) ৫৪.০।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
বাপাউবো, পানি ভবন, ঢাকা থেকে শুক্রবার ১২ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৬ টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসাদের। তিস্তার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। লালমনিরহাট এান অফিস জানান, পানিবন্দী ও ভাংঙ্গন কবলীত পরিবারদের জন্য ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ইতোমধ্যে বিতরণ শুরু করা হয়েছে।