মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : জুমার দিনকে মুসলমানদের ঈদের দিন বলা হয়েছে হাদিসে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের জন্য জুমার দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। সুতরাং জুমায় যাওয়ার পূর্বে গোসল করে নেবে। আর সুগন্ধি থাকলে, ব্যবহার করবে। আর অবশ্যই মিসওয়াক করবে।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)
হাদিসের ভাষায় জুমাবার যেহেতু ঈদের দিন, সঙ্গত কারণেই এই দিনে একে অপরকে অভিবাদন, শুভেচ্ছা জানানোর কথা আসে। বর্তমানে শুক্রবার এলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জুমা মোবারক’ বলে অভিবাদনের প্রথা দেখা যায়। কিন্তু শুক্রবারকে সামনে রেখে এভাবে ‘জুম্মা মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর বৈধতা কি আদৌ ইসলাম দেয়? এ ব্যাপারে সঠিক সমাধান জানতে চান অনেকে।
এর উত্তরে আলেমদের বক্তব্য হলো- দিনটি মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন হলেও এর জন্য আলাদা অভিবাদনের কোনো শব্দ বা বাক্য নেই। নবীযুগ ও সাহাবায়ে কেরামের যুগে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।
তবে হ্যাঁ, শুধু দোয়া হিসেবে, কোনো প্রথা বা রীতি-নীতির পেছনে না পড়ে ‘জুম্মা মোবারক’ বলা যাবে। তা-ও প্রতি শুক্রবারের এটিকে আবশ্যকীয় আমল মনে করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, কেউ যদি আমাদের (ইসলামের) সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নয় এমন কোনো আমল করে, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (বুখারি: ৩৫০৮, মুসলিম: ৬১)
অন্যত্রে আছে, কেউ যদি ইসলামে নতুন কোনো কিছু শুরু করে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা বাতিল বলে গণ্য হবে। (বুখারি: ২৬৯৭, মুসলিম: ১৭১৮)
আর একে অপরকে ‘জুমা মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর এই নব্য আবিস্কৃত প্রথা সুন্নাহ সমর্থিত কোনো আমল নয়। তাই ওলামায়ে কেরাম এটিকে বিদআত বলেছেন।
মূলত শ্রেষ্ঠ অভিবাদন হলো- ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলা। সুখে-দুঃখে এ অভিবাদন বরকত নিয়ে আসবে। কারণ ইসলামে এটিই একমাত্র অভিবাদন পদ্ধতি বা রীতি। যা মুসলমানদের জন্য সঠিক ও যথার্থ।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved